ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

‘চ্যাম্পিয়ন রংপুরে’র চেয়ে এবারের রংপুর আরও ভালো : মাশরাফি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯

আগেরবার জয় দিয়ে শুরু। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে হারানোর পর, টানা তিন ম্যাচ হেরে বসেছিল তার দল। শেষ দিকে প্রাণপন লড়ে চার নম্বর হয়ে সেরা চারে উঠে আসলেন। এরপর এলিমিনেটর পর্ব পার হয়ে কোয়ালিফায়ার-২ এ খেলে ফাইনাল।

বলার অপেক্ষা রাখে না ওই গুরুত্বপূর্ণ সময়, মানে নক আউট পর্বে দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন ক্রিস গেইল। এলিমিনেটরে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করেন গেইল। আর কোয়ালিফায়ার-২ এ শতক উপহার দেন আরেক ক্যারিবীয় জনসন চার্লস। আর ফাইনালে গেইল খেলেন ৬৯ বলে ১৪৬ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস। বিশ্ব রেকর্ড, ১৮ ছক্কায় মাঠ গরম করার পাশাপাশি ঢাকার শিরোপা বিজয়ের স্বপ্ন একাই ভেঙ্গে খান খান করে দেন গেইল।

কিন্তু প্রতিদিন যেমন ‘রোববার নয়’ প্রতিবারের চালচিত্রও হয়ত এক হবে না। তাই এবার আর শুরুতে অমন অনিশ্চয়তায় ভুগতে চান না মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরু থেকেই পারফরমেন্স ও ফলে একটা স্থিতি ও ভারসাম্যমুলক অবস্থান চান রংপুর অধিনায়ক। এবারের দল নিয়ে বেশ আশাবাদী মাশরাফি।

বললেন, ‘এবার আমাদের দলটা ভালো, ভারসাম্যপূর্ণ। বোলিং সাইডটা একটু ঠিক রাখতে হবে। এখনও সব ফরেন প্লেয়ার আসেনি। আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কাজেই এটার একটা এক্সপেক্টেশন তো আছে। আগেরবার থেকে দল আরও ভালো আমার কাছে মনে হয়।’

এ দল নিয়ে তিনি কি কনফিডেন্ট? না ওভারকনফিডেন্ট? প্রশ্ন উঠতেই মাশরাফির জবাব, ‘কোনটাই না। কনফিডেন্ট তো থাকতেই হবে খেলার জন্য। ওভারকনফিডেন্টের তো প্রশ্নই আসে না। আর নতুন করে টুর্নামেন্ট শুরু, নতুন চ্যালেঞ্জ। তো কনফিডেন্ট থাকতে হবে, ওভারকনফিডেন্ট অবশ্যই না।’

যে কোন সিরিজ বা টুর্নামেন্টে শুরুটাকে খুব গুরুত্ব দেন মাশরাফি। আজও সেই গুরুত্বের কথা উঠে এলো তার মুখ দিয়ে। উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই মাশরাফির মুখে এমন কথা, ‘প্রথম ম্যাচ সবদলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে এক দুইজন ক্রিকেটার ম্যাচ বদলে দেয়। ইভেন নিদাহাস ট্রফির কথা চিন্তা করেন, মুশফিক একা একটা ম্যাচ জিতিয়েছে। আপনি খুব ভালো দল নিয়ে টুর্নামেন্ট, বা পারটিকুলার ম্যাচ জিতবেন, এটা আশা করা ভুল। ওদের টীমও অনেক স্ট্রং। একই সাথে বলবো, যে সাতটা দল আছে, হয়তোবা ১৯-২০ আরকি। খুব বড় পার্থক্য পাওয়া কঠিন। আমার কাছে মনে হয় টুর্নামেন্টে ভালো খেলা হবে। ২-১টা ম্যাচ এদিক-সেদিক হবে। তবে ভালো খেলা হবে।’

মানছেন তার দলের ব্যাটিং বিদেশি নির্ভর। আর বোলিংটা স্থানীয়দের ওপর নির্ভরশীল। তাই তো মুখে এমন কথা, ‘সো ফার আমাদের দল সে রকমই। তারপরও কিছু অলরাউন্ডার আছে আমাদের দলে। আমি আগেও বললাম, হয়তো সবার জন্যই টুর্নামেন্ট খুব আনন্দের হবে না। ইন অ্যান্ড অফের ভেতর দিয়ে যাবে। কারণ ফরম্যাটটাও টি-টোয়েন্টি। নিজের দিনে যে ভালো করছে, তাকেই ভালো করতে হবে। এরকমই খেলা টি-টোয়েন্টি। দেখা যাবে ১২-১৩টা ম্যাচের মধ্যে কেউ ৬টা ম্যাচ ভালো করবে, ৬টা ম্যাচ খারাপ করবে। এসব টুর্নামেন্টে এমনই হবে। ম্যাচের দিন যে ভালো করছে তাকে মেক শিউর করতে হবে যেন সে ভালো করে।’

আসর শুরুর মাত্র তিন চার দিন আগে দলগুলোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এটা বিপিএলের মত এত বড় আসরের আগে স্বল্প সময়ের প্রস্তুতি অবশ্যই। এত অল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামা কতটা যৌক্তিক?

এ প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বোঝানোর চেষ্টা করলেন, যেহেতু বিদেশী ক্রিকেটারদের ছাড়া নিজেরা প্র্যাকটিস করলে পুরোদস্তুর প্রস্তুতি হবে না। তাই বিদেশীদের আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকা ছাড়া উপায় নেই। আর বিদেশি ক্রিকেটাররা তো এক মাস আগে এসে বসেও থাকবে না। তাদেরও সবার একটা সিডিউল আছে।

মাশরাফির ধারনা, এক সপ্তাহর প্রস্তুতি যথেষ্ঠ। ‘আসলে ফরেন প্লেয়ার তো আসছে এখনো। অনেক দলের এখনো এসে পৌঁছায়নি। তারপরও এক জানুয়ারি থেকে অনেকে দলের অনুশীলন শুরু হয়েছে। আমাদের লোকাল যারা জাতীয় দলে ছিলো তারা রিসেন্টলি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে খেলেছে। যেহেতু ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি, তাই হয়তো বলতে পারেন এক সপ্তাহ সময় হলে হয়তো ভালো হতো। এখন এইভাবেই অ্যাডজাস্ট করতে হবে। প্রথমদিকের ম্যাচগুলো দিয়েই রিকভার করতে হবে। প্রথম দুই-তিনটা ম্যাচ ইন অ্যান্ড অফ যাচ্ছে।’

২০ ওভারের ম্যাচে ‘ডেথ ওভার’ বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু রংপুরে সেই ডেথ ওভারে সে অর্থে কোন বিদেশী নেই। আগেরবার মালিঙ্গা আর থিসারা পেরেরা ছিলেন। এবার তারা কেউ নেই। তাদের অবর্তমানে কারা ডেথ বোলিংয়ের দায়িত্ব নেবেন?

মাশরাফির জবাব, ‘টুর্নামেন্টে রান করতে করতে হয়তো বা একটা সময় অ্যাডজাস্টমেন্টে আসতে পারব। ইনিশিয়ালি ফরহাদ রেজা আছে, শফিউল আছে, আমি আছি। আরও হয়তো এক-দুইজন ফরেন প্লেয়ার আসবে তাদের দিয়ে চালাতে হবে। একটা টিমের সব পার্ট গুলাই স্ট্রং করা কঠিন। ম্যানেজ করতে হবে আর কি।’

এআরবি/আইএইচএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন