পার্থের পর ‘অ্যাভারেজ’ রেটিং পেল মেলবোর্নও
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার চলমান টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের ভেন্যু মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) পিচকে ‘অ্যাভারেজ’ তথা ‘গড়পড়তা’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। আরেকটু হলে (গড়পড়তার নিচে বা বাজে রেটিং পেলে) ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়ে যেত মেলবোর্নের পিচ।
ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৩৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ৪ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। ম্যাচের প্রথম দুই দিনে দারুণ ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৪৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ভারত। কিন্তু এর পরই ঘুরে যায় পিচের চরিত্র।
তৃতীয় দিনে দুই দলের মিলিয়ে উইকেটের পতন ঘটে ১৫টি। প্রথম দুই দিন দুর্দান্ত ব্যাটিং উইকেট হুট করেই হয়ে যায় বোলিং উইকেট। সেদিনই মূলত নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফলও। পরে ১৩৭ রানের ব্যবধানে জিতে শেষ হাসি আসে ভারতই। তবে ম্যাচ শেষে এই পিচকে অ্যাভারেজ বলে ঘোষণা দিয়েছেন ম্যাচ রেফারী অ্যান্ডি পাইক্রফট।
টেস্ট ক্রিকেটে পিচের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য গত বছরের শুরুর দিকে এই রেটিং পদ্ধতি চালু করে আইসিসি। যেখানে পিচের মান বিবেচনা করে পাঁচ ধরণের রেটিং দেয়া হয়। এই পাঁচ রেটিং হলো-খুব ভালো, ভালো, গড়পড়তা, গড়পড়তার নিচে, বাজে।
অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের জয় পাওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের পিচকে ‘খুব ভালো’ এবং পার্থের পিচকে ‘গড়পড়তা’ রেটিং দিয়েছিল আইসিসি। এবার মেলবোর্নকেও দেয়া হলো ‘গড়পড়তা’ রেটিং। অর্থাৎ আরেকটু হলে (গড়পড়তার নিচে বা বাজে রেটিং পেলে) ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়ে যেত মেলবোর্নের পিচ।
গত বছর এমসিজিকে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) ‘বাজে’ রেটিং দিয়েছিলেন রঞ্জন মাদুগালে। যে ম্যাচের জন্য এই রেটিং দেয়া হয়, ব্যাটসম্যানদের দাপটে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সে ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।
এসএএস/জেআইএম