পাকিস্তানকে আড়াই দিনেই হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস ছিল। সেই সম্ভাবনার আগুনে জল ঢেলে দিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। হঠাৎ ব্যাটিং ধ্বসের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে মাত্র ১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পেরেছিল সফরকারিরা। তৃতীয় দিনে ৬ উইকেট হাতে রেখেই সহজ এই লক্ষ্য পার করে ফেলেছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয় মাত্র ১৮১ রানে। জবাব দিতে নেমে খুব স্বস্তিতে ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকাও। ১৮৯ রানে ৮ উইকেট হারানো দলটি টেনেটুনে যেতে পারে ২২৩ রান পর্যন্ত। প্রথম ইনিংসে লিড দাঁড়ায় ৪২ রানের।
জবাব দিতে নেমে একটা সময় ভীষণ ভালো অবস্থানে ছিল পাকিস্তান। ১ উইকেটেই তারা তুলে ফেলেছিল ১০১ রান। সেখান থেকে ডোয়াইন অলিভার, কাগিসো রাবাদা আর ডেল স্টেইনের ত্রিমুখী আক্রমণে ১৯০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
ওপেনার ইমাম উল হক হাফসেঞ্চুরি তুলে ফেরার পর ধ্বসের শুরু। আজহার আলি (০), আসাদ শফিক (৬), বাবর আজম (৬) আর সরফরাজ আহমেদ (০)-ভরসা করার মতো ব্যাটসম্যানরা ফিরে যান দুই অংক ছোঁয়ার আগেই।
একটা প্রান্ত ধরে লড়াই করছিলেন তিন নাম্বারে নামা শান মাসুদ। তিনি নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬৫ করে ডেল স্টেইনের শিকার হবার পর আর ৫ রান যোগ করে অলআউট হয় পাকিস্তান।
তৃতীয় দিনে ১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের খাতায় কোনো রান যোগ না হতেই আঘাত হাসান আলির। এইডেন মার্করামকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ডিন এলগার আর হাশিম আমলা ১১৯ রানের বড় জুটিতে পাকিস্তানের সব আশা ভরসা শেষ করে দেন। ৫০ করে এলগার শান মাসুদের শিকার হবার পর ইয়াসির আলি থিউনিস ডি ব্রুইন আর শাহীন শাহ আফ্রিদি ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেট দুটি তুলে নেন।
কিন্তু জয় তখন বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। টেম্বা বাভুমাকে (১৩) নিয়ে হাশিম আমলা বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন। হাফসেঞ্চুরি তুলে আমলা অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে।
এমএমআর/এমকেএইচ