ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে স্মিথের অনুশোচনা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

নিউল্যান্ডসে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির সঙ্গে নিজে জড়িত ছিলেন না বলেই দাবি করছেন এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ অসি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তবে, এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে- নেতৃত্বের দৃঢ়তা না থাকার কারণেই বল টেম্পারিংয়ের মত ঘটনাকে সামলাতে পারেননি তিনি।

চলতি বছর মার্চেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বল টেম্পারিং বিতর্কে জড়িয়ে এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন স্টিভেন স্মিথ। তার দুই সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন বেনক্রফ্টও একই অভিযোগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে।

বল বিকৃতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর দেশে ফিরে একবারই স্মিথ মুখ খুলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে কবুল করে নিয়েছিলেন সব দোষ। এরপর গত সাত মাস আর মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউল্যান্ডসের হয়ে খেলছেন এখন। দলের ড্রেসিংরুমে বসেই মিডিয়াকে পুরনো অভিযোগ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন তিনি।

নিউল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের আগেরদিন ড্রেসিংরুমে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। বিষয়টা জানতেন স্মিথ। সতীর্থদের আলোচনার বিষয়টি তিনি নিজ কানে শোনার পরও বাধা দেননি। নিজে জড়িত না থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে এমন অন্যায় কাজে বাধা সৃষ্টি করা প্রয়োজন ছিল। সে কারণেই, নিজে থেকে অনুতপ্ত স্মিথ।

তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে এ ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছিল, যা আমি শুনতে পাই। তখনই আমার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া উচিত ছিল। বাধা দেওয়া উচিত ছিল; কিন্তু আমি তা করিনি। যার ফল মাঠেই পাওয়া গেছে।’

স্মিথ সঙ্গে এও যোগ করেন, ‘এমনকি আমি বলি, আমি এ বিষয়ে কিছু শুনতে চাই না। সেই মুহূর্তেই অধিনায়ক হিসেবে আমি হেরে গেছি। তাই মাথা পেতে শাস্তি নিতেও এগিয়ে এসেছি। এটুকু বলতে পারি, আমি ব্যাপারটা আটকাতে পারতাম। সে সুযোগও আমার কাছে ছিল; কিন্তু আমি সেটা একেবারেই পারিনি। মূলতঃ আমার নেতৃত্বে দৃঢ়তার অভাব ছিল। তাই আমি পারিনি।’

স্মিথ-ওয়ার্নাররা না থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়া দলটাও পুরোপুরি বিপর্যয়ের মুখে। একের পর এক হারে বিপর্যস্ত। বিষয়টা বেশ হতাশা তৈরি করেছে স্মিথের মধ্যে। তিনি বলেন, ‘যখন দেখি আমার সতীর্থরা লড়াই করছে; কিন্তু ফল তাদের পক্ষে যাচ্ছে না। তখন মনে হয়, আমি যদি ওদের পাশে দাঁড়াতে পারতাম!’

পার্থ টেস্টে ভারতকে হারিয়ে সমতায় ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। এ সম্পর্কে স্মিথ বলেন, ‘পার্থ টেস্টে দল যা খেলেছে, আমি সত্যিই খুশি, গর্বিত। পুরো দলই অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে। টিম পেইনের কথা আলাদা করে বলতেই হবে। অধিনায়ক হওয়ার পর ওকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে; কিন্তু সেগুলো চমৎকারভাবে সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে সে।’

নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর নয় মাস ইতিমধ্যেই কেটে গেছে। এখনও বাকি তিন মাস। মার্চের শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার কথা স্মিথের। ২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের জন্য বিশ্বকাপকেই এখন লক্ষ্য বানিয়েছেন স্মিথ।

এরই প্রস্তুতি হিসেবে আইপিএলের দিকেই নজর স্মিথের। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে এখন টি-টোয়েন্টির মতোই হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আইপিএলের থেকে ভাল মাধ্যম আর কী হতে পারে! কারণ, এই প্রতিযোগিতায় চাপ সামলানোর অভ্যাস হয়ে যায়। যা বিশ্বকাপেও নিশ্চয়ই থাকবে।’

আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন