রেকর্ডের সঙ্গে বিতর্কও মিশে থাকল ‘প্রথম’ ম্যাচে
ম্যাচ শুরুর ত্রিশ মিনিট আগে অর্থাৎ টস করার সময়ই ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গিয়েছিল এবারের বিগ ব্যাশ ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী ম্যাচটি। কেননা প্রথমবারের মতো কোনো স্বীকৃত ক্রিকেটে কয়েনের পরিবর্তে টস হয়েছিল ব্যাট দিয়ে। যেখানে টসে জিতেছিলেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক কলিন ইনগ্রাম।
মাঠের খেলা শুরু হওয়ার ব্যাট টস হওয়া এই ‘প্রথম’ ম্যাচটি জন্ম দিয়েছে রেকর্ড ও বিতর্ক- উভয়েরই। দুটিই হয়েছে ব্রিসবেন হিটের ব্যাটিং করা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে। একটায় জড়িত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার জেমস প্যাটিনসন, অন্যটিতে লেখা থাকবে আফগান রহস্য স্পিনার মুজিব-উর-রহমানের নাম।
ব্রিসবেনের ইনিংসের ১৩তম ওভারের ঘটনা। রশিদ খানের করা ওভারের দ্বিতীয় বলটি শর্ট থার্ড ম্যানের দিকে খেলেই রান নিতে দৌড় দেন স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যান জেমস পিয়েরসন। শুরুতে ইতস্তত করলেও পরে রান দিতে দৌড় দেন ননস্ট্রাইকে থাকা জেমস প্যাটিনসনও।
এরই মধ্যে উইকেট রক্ষকের হাতে চলে আসে পিটার সিডলের করা থ্রো। উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারে উইকেট ভাঙতে উদ্ধত হলে ডাইভ দিয়ে নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করেন প্যাটিনসন। সিদ্ধান্ত পাঠানো হয় থার্ড আম্পায়ারের কাছে।
মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে স্পষ্ট দেখা যায় উইকেট ভাঙার আগেই পপিং ক্রিজ ছুঁয়ে ফেলেছেন প্যাটিনসন। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানান আউট। খটকা লাগে মাঠের আম্পায়ার ও প্যাটিনসনের। যে কারণে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে থার্ড আম্পায়ার গ্রেগ ডেভিডসনের সাথে যোগাযোগ করেন মাঠের আম্পায়ার সাইমন ফ্রাই।
তখনো নিজের আউটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ডেভিডসন। ফলে মাঠ ছাড়তে হয় প্যাটিনসনকে। কিন্তু মাঠের সবাই জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখেছে পপিং ক্রিজ পার করেছেন প্যাটিনসন। তাই তিনি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে ডাকেন অ্যাডিলেড অধিনায়ক কলিন ইনগ্রাম।
মাঠের আম্পায়ার ফ্রাইয়ের সাথে কথা বলে নিজেদের রানআউটের আপিলটাই বাতিল করে দেন ইনগ্রাম। যে কারণে বাতিল হয়ে যায় থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ব্যাটিং করার সুযোগ পান প্যাটিনসন। কিন্তু ঠিক কি কারণে স্পষ্ট নটআউটকে আউটের ঘোষণা দিলেন থার্ড আম্পায়ার, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। তাই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই বিতর্ক দেখা দেয় বিগ ব্যাশে।
প্যাটিনসনের এ বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে রেকর্ড গড়েন আফগান স্পিনার মুজিব। মাত্র ১০১ রানের মাথায় নবম উইকেট পতনের পর পিয়েরসনের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন মুজিব।
যার মধ্যে ২৭ রানই আসে ডানহাতি এ রহস্য স্পিনারের ব্যাট থেকে। তার ২২ বলে ৩ চারের মারের করা এ ২৭ রান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এগারো নম্বরে ব্যাট করতে নামা যেকোনো ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এসএএস/এমএস