মাশরাফি না থাকায় বাড়তি সুবিধা ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বাংলাদেশ সফরে এসে কিছুতেই কোনো কূল খুঁজে পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। মাসকয়েক আগে যখন বাংলাদেশ খেলতে গিয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সেবার অন্তত টেস্ট সিরিজটা জিতেছিল স্বাগতিকরা। হেরে গিয়েছিল বাকি দুই সিরিজ। আর এবার ফিরতি সফরে এসে এরই মধ্যে হেরে গিয়েছে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ। বাকি রয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি।
বলা হয়ে থাকে ফরম্যাট যত ছোট হয়, ক্যারিবীয়রা তত ভয়ঙ্কর হয়। কিন্তু সেই ভয়ঙ্কর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাটিতেই সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ দল। আর এবার লড়াইটা হবে বাঘের ডেরায়, চেনা মাটিতে, অনুকূল কন্ডিশনে। চ্যালেঞ্জটা তাই আরও বেশি ক্যারিবীয়দের জন্য।
শুক্রবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার পরে শনিবার বিশ্রামেই কাটিয়েছে স্বাগতিক দলের ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে অন্তত টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জিততে মরিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল দুপুরেই নেমে পড়েছে কঠোর অনুশীলনে। ওয়ানডে দলের কয়েকজনের সাথে যোগ দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা।
অনুশীলনের ফাঁকে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ক্যারিবীয়দের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। তার মতে আগের দুই সিরিজে না হলেও, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সুযোগ থাকবে তার দলে। এ সংস্করণে খেলার দৈর্ঘ্য কম থাকায় এটি ক্যারিবীয়দের সাথে মানিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
মুশতাক বলেন, ‘ফরম্যাট ছোট হতে থাকলে ক্যারিবীয়রা ভালো খেলে- কথাটা দারুণ। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান ক্রিকেটীয় কালচারটা টি-টোয়েন্টির সাথে মানিয়ে যায়। দলটা এই ফরম্যাটের জন্য খুবই শক্তিশালী। পঞ্চাশ ওভার কিংবা টেস্ট ক্রিকেটেও তারা উন্নতি করছে। তবে দলটা নতুন হওয়ায়, অনেক নতুন মুখ থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেয়াটা সহজ হচ্ছে না। তবে আমি জানি তারা আন্তর্জাতিক মানে ক্রিকেট ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠছে। খুব শীঘ্রই তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
টেস্ট সিরিজে ছিলেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। খেলেছেন ওয়ানডেতে। সামনে থেকে পারফরম্যান্স করে জিতিয়েছেন ওয়ানডে সিরিজটা। অবসর নেয়ায় খেলবেন না টি-টোয়েন্টি সিরিজে। মাশরাফির নেতৃত্বগুণের স্তুতি শোনা যায় সবার মুখে মুখে। একই কথা উচ্চারণ করলেন মুশতাকও। তার মতে টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফি না থাকায় বাড়তি সুবিধাই দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
মুশতাকের ভাষ্যে, ‘মাশরাফি না থাকায় অবশ্যই আমাদের জন্য সুবিধা। কারণ নেতারা সবসময়ই একটা পার্থক্য গড়ে দেয়। একজন ভালো নেতা দলটাকে ভালোভাবে গুছিয়ে রাখতে পারে। যখন কোনো নেতা একটা দলকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে তখন সে দলও বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। আশা করি আমরা আমাদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলতে পারবো এবং ম্যাচ জিততে পারবো।’
এআরবি/এসএএস/জেআইএম