সন্ধ্যা না নামতেই ঘন কুয়াশা আর শিশিরে সয়লাব সিলেট স্টেডিয়াম
সিলেটে অঘ্রানের শেষ আর পৌষের শুরুতে ঠান্ডা পড়ে বেশ। যেহেতু মাঠের দু’দিকে চা বাগান আর চারপাশ ঘন সবুজ গাছপালায় ভরা, তাই সন্ধ্যা না নামতেই চারিদিক একটা হিমশীতল পরিবেশ তৈরি হয় লাক্কাতুরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তারচেয়ে বড় কথা হলো, ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। সঙ্গে প্রচুর শিশিরও পড়তে শুরু করে, একেবারে বৃষ্টির মতো।
তাই আগে-ভাগেই খেলার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে সিলেট ম্যাচের। ঢাকায় শিশিরের কথা ভেবে দিবা-রাত্রির ম্যাচ এক ঘন্টা এগিয়ে দুপুর ২টার পরিবর্তে আনা হয় দুপুর ১টায়। রাজধানীর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ওয়ানডে শুরু হয়েছিল বেলা একটায়। আর সিলেটের ম্যাচ শুরু হবে আরও এক ঘণ্টা আগে, অর্থ্যাৎ দুপুর ১২টায়।
গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি বিপিএলের একটা পর্বও অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেটের এই মাঠে। তখনই কুয়াশা আর শিশির পড়েছে প্রচুর। আর এবার খেলা হচ্ছে তারও প্রায় তিন সপ্তাহর বেশি সময় পর। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজধানী ঢাকার চেয়ে ঠান্ডার তীব্রতা বেশি। তারচেয়ে বেশি কুয়াশা এবং শিশির।
সন্ধ্যার পর সময় যত গড়িয়েছে ততই কুয়াশা যেন জেঁকে বসলো। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সিলেট স্টেডিয়াম ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লো। একই সঙ্গে পুরো স্টেডিয়াম শিশিরে সয়লাব। পিচ কভারের ওপরে সন্ধ্যার ঘণ্টা দুয়েক না যেতেই পানি জমে গেলো। এমনকি ঘাসের ওপরের স্তরেও দেখা মিললো বিন্দু বিন্দু শিশির কণা।
তার মানে শুক্রবার বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে কুয়াশা ও শিশির একটা প্রভাব ফেলবে। শিশির পড়া মানেই স্পিনারদের বল ‘গ্রিপ’ করায় সমস্যা হওয়া। পাশাপাশি পেসারদের বল ‘স্কিড’ করা। কাজেই কালকের ম্যাচে ‘টস’ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। শিশির বেশি পড়ায় দ্বিতীয় সেশনে স্পিনারদের কার্যকরিতার সম্ভাবনা কম। তাই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি টস জিতলে হয়ত আগে-ভাগেই বোলিং বেছে নেবেন।
এআরবি/আইএইচএস/পিআর