স্পিনারদের আসল চ্যালেঞ্জ হবে দেশের বাইরে : টাইগার স্পিন কোচ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের স্পিনাররা দাপট দেখিয়েছেন। দুই টেস্টে প্রতিপক্ষের ৪০ উইকেটই নিয়েছেন মিরাজ-সাকিব-তাইজুলরা। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের জয়ে পেসাররা বেশি ভালো করলেও স্পিনারদের রান নিয়ন্ত্রণে বড় অবদান ছিল।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা এখন ফর্মের তুঙ্গে। আর যিনি এই স্পিনারদের নিয়ে কাজ করছেন, সেই স্পিন বোলিং কোচ সুনীল জোসির খুশিই তো হওয়ার কথা। শিষ্যদের পারফরম্যান্সে জোসি খুশি তো বটেই। তবে এখনই আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে নারাজ ভারতীয় এই কোচ। তার মতে, স্পিনারদের আসল চ্যালেঞ্জ হবে বিদেশ সফরে।
বাংলাদেশের উইকেট লো স্লো এবং টার্নিং। বিদেশে হবে তার উল্টোটা। পিচে বাউন্স থাকবে, ম্যুভমেন্ট থাকবে, বাতাসের বেগে সুইংও হবে বেশি। সেখানে পেসারদের মুখে থাকবে হাসি। আর সাফল্য পেতে হলে শুধু লাইন লেন্থ বজায় রাখলেই হবে না, বুদ্ধি খাঁটিয়ে বল করতে হবে স্পিনারদের।
বাংলাদেশ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পরের অ্যাসাইনমেন্ট নিউজিল্যান্ডে। যেখানে কঠিন কন্ডিশনে খেলতে হবে। জোসি জানেন, সেখানে স্পিনারদেরও বাড়তি কিছু বিষয় রপ্ত করে সাফল্য পেতে হবে।
টাইগার স্পিন কোচ বলেন, 'আমার মনে হয় যখনই দেশের বাইরে যাবেন কন্ডিশন সবসময়ই কঠিন থাকে। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটা জরুরী, নিজের মনোভাবটাও বদলানো জরুরী। প্রতিটি ফরমেটেই আপনার মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। যখন আপনি লাল বলে খেলবেন তখন আপনার মনোভাব ভিন্ন হবে এবং সাদা বলের ক্রিকেটে হবে অন্যরকম।'
সাকিব-তাইজুলের সঙ্গে নাঈমের মতো নতুনরাও ভালো করায় চ্যালেঞ্জটা এখনও আসেনি বলেই মনে করছেন জোসি। তার মতে, আসল চ্যালেঞ্জটা হবে বিদেশ সফরে, 'চ্যালেঞ্জটা তখনই আসবে যখন আমরা দেশের বাইরে যাব। আমরা যখন ঘরের বাইরে যাব তখন হয়তো আমাদের মনোভাবে পরিবর্তন আনার দিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, সেই ব্যাটসম্যানগুলোর মনোভাবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। সেটাই চ্যালেঞ্জ হবে। এটাই আমি খেলোয়াড়দের জানানোর চেষ্টা করছি।'
বাংলাদেশ দলের আরেকটি শূন্যতা লেগস্পিনে। দিনের পর দিন একজন মানসম্পন্ন লেগির জন্য হাহাকার করে মরছে টাইগাররা। এ নিয়ে দলের স্পিন বোলিং কোচ কি ভাবছেন? জোসির উত্তর, 'আমি নিশ্চিত, আমাদের যদি খুব ভালো রিস্ট স্পিনার থাকতো, অবশ্যই আমরা তাকেও নিয়ে খেলতাম। কারণ, সেটাই সমন্বয় হতো এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলের মধ্যে সব ধরণের বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরী। আমাদের যদি বিকল্প থাকে তাহলে কেন নয়।'
এমএমআর/পিআর