দেশের হয়ে শততম ম্যাচের পর নিজের ২০০তম ম্যাচেও সেরা মাশরাফি
সবার জানা আবেগ তাকে স্পর্শ করতে পারে না কখনো। সাফল্য মোটেও নাড়া দেয় না দেহ মনে। উদ্বেলিত হন না। আর পরাজয়ে ব্যথিত হলেও হতাশ হন না। মুষড়েও পড়েন না। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠের লড়াইয়ের মহানায়ক মাশরাফি ২২ গজের বাইরে গিয়ে খেলার চালচিত্রই মনে রাখেন শুধু।
ইতিহাস-পরিসংখ্যান নিয়েও মাথা ঘামান না। মাথায় রাখেনও না। তাইতো আজ যে তার ক্যারিয়ারের ২০০ নম্বর ওয়ানডে, সেটাই মনে ছিল না মাশরাফির। গতকাল প্রেস কনফারেন্সে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে জানলেন। বললেন, তাই নাকি জানতামনা তো! ‘আসলে আমি এসব নিয়ে ভাবি না। রেকর্ড-পরিসংখ্যান আমাকে টানে না। আমি ওসব নিয়ে চিন্তাও করি না।’
পরিসংখ্যান আর রেকর্ড নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করলেও ইতিহাস জানাচ্ছে মাশরাফি তার ক্যারিয়ারের বিশেষ দিনে আরও বেশি ভালো খেলেন এবং তার ও দলের দু’দুটি স্মরণীয় দিনে তার পারফরমেন্স হয় আরও উজ্জ্বল।
এটা তার ক্যারিয়ারের ২০০ নম্বর ম্যাচ অবশ্যই। তবে এর দুটি ম্যাচ আছে এশিয়া একাদশের পক্ষে। দেশের হয়ে এটা মাশরাফির ১৯৮ নম্বর ওয়ানডে। কি আশ্চর্য্য! দেশের শততম আর নিজের ২০০ নম্বর ওয়ানডে- দুটিতেই ম্যাচ সেরা দুর্লভ কৃতিত্বের অধিকারি হলেন মাশরাফি!
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে দেশের শততম ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্সে ভারতের বিপক্ষে জয়ের নায়ক ছিলেন মাশরাফিই। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৯ বলে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে ২২৯ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে দিতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
এরপর বল হাতে আগুন ঝরিয়ে ভারতের তখনকার এক নম্বর ওপেনার বিরেন্দর শেবাগকে শূন্য রানে এবং বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল তারকা মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ১২ রানে সাজ ঘরে ফেরত পাঠিয়ে দলের জয়ের সফল রূপকার ছিলেন তিনি। ৯-২-৩৬-২- বোলিং ফিগারে ম্যাচ সেরাও হয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস ও আজকের বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।
আর আজ তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০০ নম্বর ম্যাচেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ মাশরাফি। বল হাতে ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকারের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচ সেরার ট্রফি তুলে দেয়া হয় মাশরাফির হাতেই।
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম