সংসদ সদস্য হলে ক্রিকেট উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে চান মাশরাফি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র কেনার পর থেকে খানিক আড়ালেই ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আনুষ্ঠানিকভাবে একটা টু শব্দও করেননি নির্বাচনের ব্যাপারে। মিরপুরে ক্রিকেটপাড়ার সাংবাদিকদের মধ্যে যারা তার কাছের, আপন- তাদের সাথে অনেক কথাই বলেছেন। কিন্তু শর্ত দিয়েছেন সেসব বাইরে লেখা যাবে না।
যে কারণে জানা সম্ভব হয়নি মাশরাফির নিজের বক্তব্য। পাওয়া হয়নি কৌতূহলী মনের নানান প্রশ্নের উত্তর। অবশেষে আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে স্ব-উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে সকলের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মাশরাফি।
প্রায় ২৪ মিনিটের এ সম্মেলনে ক্রিকেটের চেয়ে ক্রিকেটের বাইরের কথাই বেশি বলতে হয়েছে মাশরাফিকে। মূলত ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে দিয়ে নির্বাচন কিংবা রাজনীতি বিষয়ে কথা বলতে চান না দেখেই সবকিছু এ সম্মেলনেই খেলার বাইরের সবকিছু শেষ করতে চেয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
মাশরাফি নির্বাচন করছেন নিজের জন্মস্থান নড়াইলে। যেখানে তার জনপ্রিয়তা তুমুল। অনেকে ধরেই নিয়েছেন যে নির্বাচনে একপাক্ষিকভাবেই জিতবেন মাশরাফি। আর সাংসদ নির্বাচিত হলে তিনি কাজ করবেন তার এলাকার উন্নয়নে- এমনটাই জানিয়েছেন মাশরাফি।
তবে কি একজন ক্রিকেটার হিসেবে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে সাংসদ মাশরাফির কোনো ভূমিকা থাকবে না? তার সামনে স্ববিস্তরে প্রশ্ন করা হয়, আপনি এখন ক্রিকেটার মাশরাফি, অধিনায়ক মাশরাফি। দুদিন পর যদি সাংসদ মাশরাফি হন তাহলে নড়াইলবাসীর পাশাপাশি ক্রিকেটের উন্নয়নে আপনি কি করতে চান এবং আপনার ভূমিকা কি হবে? বাংলাদেশের ক্রিকেটে রীতি হলো সরকারি দলের সাংসদ এবং মন্ত্রীদের কয়েকজন ক্রিকেট বোর্ড ব্যবস্থাপনায় থাকেন। এখন যেমন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, নাইমুর রহমান দুর্জয়সহ বেশ কয়েকজন বোর্ডে আছেন। আপনি সাংসদ নির্বাচিত হলে বোর্ডে আপনার কি ভূমিকা থাকবে?
মাশরাফির উত্তর, ‘আগে নির্বাচন হোক। আমি যদি জিততে পারি, এটা তারপরের কথা। আগে নির্বাচন, তারপর জয়ী হওয়া। এরপর বোর্ড ব্যবস্থাপনা কিংবা ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করার প্রসঙ্গ। তবে হ্যাঁ, আমি চেষ্টা করবো ক্রিকেটে উন্নয়নে কাজ করার, সুযোগ পেলে ক্রিকেটের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করবো।’
এসময় মাশরাফি জানান এখনো পর্যন্ত তার মনোযোগ পুরোটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের দিকেই। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেই নির্বাচন-সংক্রান্ত ভাবনা। সিরিজ শেষ করেই নিজের নির্বাচনী এলাকা নড়াইলে যাবেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অন্য আট-দশটা সিরিজ যেমন ছিল এটাও ঠিক তেমনি আছে। আমার ফুল ফোকাস ক্রিকেটেই আছে। ১৪ তারিখ শেষ ওয়ানডে খেলার পরেই নির্বাচনের চিন্তা। আমি এখনও এলাকাতেই যাইনি। নড়াইলবাসীর উপর নির্ভর করছে আমার জেতা-হারার বিষয়টি। আমার মন ক্রিকেটেই স্থির হয়ে আছে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। আগে খেলা শেষ হোক, তারপরে আমি হয়তো এলাকায় (নড়াইল) যাবো।’
এআরবি/এসএএস/আরআইপি