‘র্যাংকিং যুদ্ধ’ও আছে সাকিবের ভাবনায়
সাদা বল, রঙিন পোশাকের ওয়ানডে ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলা হয়েছে অনেকদিন হলো। স্বল্প সময়ের জন্য সাদা পোশাকের টেস্ট ক্রিকেটেও ক্যারিবীয়রা পেছনে পড়েছিল টাইগারদের; কিন্তু বেশিদিন উপরে থাকা হয়নি বাংলাদেশের। আবারও উইন্ডিজের পেছনে পড়ে গেছে টাইগাররা।
বলা হচ্ছে আইসিসি র্যাংকিংয়ের কথা। দীর্ঘ দিন ধরেই ওয়ানডে ক্রিকেটের র্যাংকিংয়ে সাত নম্বর অবস্থানটা নিজেদের করে রেখেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে নয় নম্বরে। টেস্ট ক্রিকেটে নয় নম্বরে বাংলাদেশ, এক ধাপ সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে দুই দলের র্যাংকিং ব্যবধান একদমই অল্প। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টানা ব্যর্থতার সুযোগে ক্ষণিকের জন্য আটে উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার অল্প সময়ের জন্য হলেও টাইগারদের সামনে এবার সুযোগ এসেছে ক্যারিবীয়দের নিচে নামিয়ে স্থায়ীভাবে আট নম্বর স্থানে বসে যাওয়ার।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে দুই দলের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যে কোনো ব্যবধানে এ সিরিজ জিতলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯-এ নামিয়ে আটে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে বাড়বে রেটিংয়ের দুরত্বটাও।
সিরিজ শুরুর আগে বিষয়টা মাথায় আছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানেরও। জুন-জুলাইতে তাদের মাটিতে খেলতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আসায়, দেশের মাটিতে রয়েছে প্রতিশোধমূলক একটা ব্যাপারও। সাকিব এসব প্রতিশোধ বা জবাব দেয়া অমূলক কিছু না ভাবলেও র্যাংকিং নিয়ে বেশ সচেতন তিনি।
দুই দলের র্যাংকিং কাছাকাছি হওয়ায় লড়াইটা হবে জমজমাট, এমনটাই মনে করছেন সাকিব। ম্যাচ পূর্বর্বতী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের (দুই দলের) যেহেতু র্যাংকিংয়ের পজিশনটা খুব কাছাকাছি, তাই স্বাভাবিকভাবেই লড়াইটা জমবে। ওরা যেমন ওদের হোমে ভালো করতে পেরেছে, আমাদেরও লক্ষ্য থাকবে আমরা যেন ওরকমই ভালো করি এখানে।’
শুধু অধিনায়ক একাই নয়, তার বিশ্বাস পুরো দলই নিজেদের সামর্থ্য জানে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেতে দৃঢ়প্রত্যয়ী। তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী। আমি মনে করি, পুরো দলও মনে করে ওদের সাথে ভালো করা সম্ভব। ভালো করার যে বিশ্বাসটা সেটা সবার ভেতরে আছে। আর যেহেতু দুই দলের র্যাংকিংটা কাছাকাছি, আমরা আট-নয়ে অবস্থান করছি। আমি মনে করি এই সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ভালো করব।’
এসএএস/আইএইচএস/জেআইএম