খেলোয়াড়দের মাঝে রোডস-গিবস হওয়ার তাড়না দেখেন ফিল্ডিং কোচ
ব্যাটিং-বোলিং যেমনই ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশ দলের দুশ্চিন্তা বেশ পুরনো। কখনো খুব বেশি ভালো তো পরের ম্যাচেই লেজে-গোবরে অবস্থা হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। টাইগার ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ের উন্নতির লক্ষ্যে কোচিং স্টাফের সাথে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক।
সারা বিশ্বে ফিল্ডিংয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন জন্টি রোডস, কম যাননি হার্শেল গিবসও। যেকোনো ভালো ফিল্ডিংয়ের দেখা পেলেই টানা হয় গিবস-রোডসদের কথা। সে দেশেরই মানুষ রায়ান কুককে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করার জন্যে।
কুক মনে করেন তার দেশে রোডস, গিবসদের মতো উদাহরণ থাকায় যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য ফিল্ডার হিসেবে ভালো করাটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সে অর্থে ফিল্ডিংয়ের জন্য বিশেষায়িত কোনো উদাহরণ নেই বললেই চলে। তবে রায়ান কুক বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাঝে ফিল্ডিং নিয়েও তৎপরতা দেখেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও রোডস-গিবসদের মতো উদাহরণ তৈরি করতে চায় বলে মনে করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি খেলতে বাংলাদেশ দল এখন চট্টগ্রামে। সোমবার শেষ হয়েছে মূল সিরিজের আগে হওয়া দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। সে ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে এসব কথা জানান কুক।
তিনি বলেন, ‘ফিল্ডিংটাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বেশ সিরিয়াসলি নেয়। এতে আমি খুশি। গত কয়েকদিনে ওদের বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে ফিল্ডিংয়ের মানের কথা বললে, দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বেশ পিছিয়েই বলা যায়। ব্যাপারটি হলো, সেখানে অনেকের উদাহরণ আছে সামনে। কেউ হয়তো জন্টি রোডস বা হার্শেল গিবসের মতো হতে চায়। আর এখানকার ক্রিকেটাররা সেই জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। ওদের তাই ভালো থেকে আরও ভালো হতে হবে।’
এসময় ফিল্ডিং সাইড হিসেবে খুব বেশি ভালো না হওয়ার কারণ হিসেবে সামনে কোনো উদাহরণ না থাকাটা একটা বড় নিয়ামক বলে জানান কুক।
‘সামনে কোনো উদাহরণ না থাকা একটি ব্যাপার (ভালো ফিল্ডিং দল না হওয়ায়)। আমি চাই, নিজেদের মানদণ্ড ওরা নিজেরা তৈরি করুক, অবশ্যই ওদেরকে চেষ্টা করতে হবে বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল হতে। আমার কোনো সংশয়ই নেই যে এই সামর্থ্য ওদের আছে।’
এসএএস/জেআইএম