আজই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নতুন সভাপতি হচ্ছেন পাপন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই যে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছেন, সেই খবরটা জাগো নিউজের পাঠকরা জেনে গিয়েছিলেন গত ১৪ অক্টোবরই। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সে দায়িত্বটা নেবেন বিসিবি সভাপতি পাপন।
এসিসির এজিএমে অংশ নিতে আজ শনিবার ভোরে লাহোর গিয়ে পৌঁছান আইসিসির সিইও ডেভ রিচার্ডসন এবং আইসিসির গেম ডেভেলপমেন্টের অন্যতম শীর্ষ কর্তা বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলও। জাগো নিউজের সঙ্গে দুবাই থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফোনালাপে বুলবুল নিশ্চিত করেছেন তিনি এই বৈঠকে অংশ নেবেন।
খালি চোখে ভারতের একচ্ছত্র প্রাধান্য মনে হলেও এশিয়ার ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা এসিসির প্রধান হন মূলত এ অঞ্চলের চার টেস্ট খেলিয়ে দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ থেকেই। এটা চলমান প্রক্রিয়া ও পালাবদলের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
এক মেয়াদে ভারত থেকে হলে পরের মেয়াদের সভাপতি নিযুক্ত হন অন্য টেস্ট খেলিয়ে দেশ থেকে। সাধারণত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড মনোনীত প্রতিনিধি বা সভাপতিরাই হন এসিসির প্রেসিডেন্ট।
সেই চলমান প্রক্রিয়ায় এবার এশীয় ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা এসিসির শীর্ষ কর্তা হচ্ছেন নাজমুল হাসান পাপন। শনিবার পাকিস্তানের মাটিতে বসে পাকিস্তানেরই এহসান মানিকে সরিয়ে এসিসির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বিসিবির বর্তমান প্রধান পাপন।
উল্লেখ্য, এখন চলমান প্রক্রিয়ায় এসিসির প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন পাকিস্তানের এহসান মানি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার চেয়ারে বসবেন। এহসান মানির কার্যমেয়াদ শেষেই দুই বছরের জন্য এসিসির প্রধান হবেন পাপন।
বলার অপেক্ষা রাখেনা, এর আগেও বাংলাদেশ থেকে ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি বা শীর্ষ কর্তা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিসিবির দুই সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি এবং আ হ ম মোস্তফা কামালও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এআরবি/এসএএস/এমএস