খুশিতেই সেজদাহ দিয়েছি : মিরাজ
বয়স মাত্র ২১। বাচ্চা-বাচ্চা ভাবটা এখনও কাটেনি মেহেদী হাসান মিরাজের। কখনও উইকেট পেয়ে মুশফিকের বুকে আছড়ে পড়ছেন, কখনও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েসের মতো সিনিয়রদের সঙ্গে মেতে উঠছেন খুনসুটিতে। এই বয়সেই দলের ভরসার জায়গাটা পোক্ত করে ফেলেছেন। দলের প্রতি মিরাজের আবেগও যেন একটু বেশি।
মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে তো সেই আবেগে বিরল এক ঘটনারই জন্ম দিলেন মিরাজ। সেঞ্চুরি বা বড় কোনো অর্জনের পর মুসলমান ক্রিকেটারদের সেজদায় লুটিয়ে পড়ার ঘটনা বিরল কিছু নয়। বাংলাদেশেরও অনেক ক্রিকেটার মহান সৃষ্টিকর্তাকে শুকরিয়া জানাতে এই রীতিটি পালন করেন।
তবে সেঞ্চুরি বা হাফসেঞ্চুরি পাননি, তবু ব্যাটিংয়ের সময় সিজদায় লুটিয়ে পড়েছেন, এমন ঘটনা কি ঘটেছে আগে? মিরপুরে সেই বিরল ঘটনার সাক্ষীই হলেন সবাই। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেঞ্চুরির পরই সিজদাহ করেছিলেন, তার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে মাথা ঠেকান জুটির সঙ্গী মিরাজও। তিনি তখন ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিরাজের এই সিজদায় লুটিয়ে পড়ার ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্বভাবতই দিনের খেলা শেষেও উঠে এল এই প্রসঙ্গটি। গণমাধ্যমকর্মীরা মিরাজের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এই সিজদায় যাওয়ার রহস্য।
জবাবে মিরাজ জানান, আসলে অতি খুশিতেই এমনটা করেছেন তিনি। খুশির কারণটাও জানালেন দিনশেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা এই অলরাউন্ডার।
মিরাজ বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন ধরেই কিন্তু রান করতে পারছিল না। এই ম্যাচটায় আমাদের অনেক প্রাপ্তি। মুশফিক ভাই ডাবল করল, মুমিনুল ভাই দেড়শ করল। রিয়াদ ভাই সেঞ্চুরি, মিথুন ভাই পঞ্চাশ, আমিও করলাম একটা পঞ্চাশ। মানে আমার খুব ভালো লাগছে যে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছে। ব্যাটসম্যানরা ডমিনেট করেছে। এটা দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানরা যদি ডমিনেট করে, তাহলে দলও ভালো খেলে। এই খুশিতেই আসলে সিজদাহ দেওয়া। আসলে খুব ভালো লাগছে। সবার অনুভূতি কাজ করেছিল। নিজের অনুভূতি ধরে রাখতে পারিনি। তাই রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে সিজদাহ করেছি।’
এমএমআর/এমএস