তিনশও করা সম্ভব : মুশফিক
ঢাকা টেস্ট প্রথম দিন ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন মুমিনুল হক। দিন শেষে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো বারবার আটকে গেলে, ডাবল সেঞ্চুরিটা আসবে কবে? নির্লিপ্ত মুমিনুল দিয়েছিলেন দার্শনিকীয় উত্তর। বলেছিলেন যেকোনো দিনই আসতে পারে তার ডাবল সেঞ্চুরি, এখন বারবার বঞ্চিত হওয়ায় ডাবল সেঞ্চুরির ক্ষুধা বাড়ছে তার।
পরেরদিনই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান এবং ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ২১৯ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায়ই ঘোষণা করে দেয়া হয় ইনিংস। আজ সুযোগ থাকলেও ট্রিপল সেঞ্চুরি বা তিনশ করা হয়নি মুশফিকের।
তাই প্রথম দিন মুমিনুলকে করা প্রশ্নের রেশ ধরেই মুশফিককে জিজ্ঞেস করা হয় বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের তিনশ হবে কবে? জবাবে মুশফিক জানিয়েছেন আজকের দুইশ রান করার পরে বিশ্বাস বেড়েছে তার। এছাড়াও তিনি আগে থেকেই বিশ্বাস করেন টপঅর্ডারের যে কারো জন্য টেস্টে তিনশ রান করাটা খুবই সম্ভব।
মুশফিক বলেন, ‘আমি আমার নিজের ভেতর এটা বিশ্বাস করি। প্রথমে যখন ২০০ করেছিলাম (২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে), তখন মনে হয়নি যে এটা প্রথম বা আবার কবে মারব। নিজের ওপর ওরকম বিশ্বাস ছিল না। এখন এই ডাবলটা পাওয়ার পর আমার বিশ্বাস একটু হলেও ফিরে এসেছে যে এরকম আরও বড় অবদান রাখতে পারব। আমার মনে হয় আমাদের টপ অর্ডারদের কারও জন্য এটা অসম্ভব নয়। ইনশাআল্লাহ মুমিনুলের তাড়াতাড়ি ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলবে। যখন এই ম্যাজিক ফিগার পেয়ে যাবে তখন সে আরও বড় কিছু করতে পারবে।’
মুশফিক নিজেই টেনে আনেন নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কথা। তাহলে জেনে নেয়া যাক গলের মাঠে সেই ডাবল আর ঢাকার মাঠে এই ডাবলের মধ্যে পরিবর্তন ছিল কি কি? মুশফিক জানান মূলত নিজের পছন্দের বড় শট কম খেলে ছোট ছোট শটেও রান করতে পারেন এই বিশ্বাসটি তিনি পেয়েছেন আজকের ডাবল সেঞ্চুরিতে।
নিজের ২১৯ রানের ইনিংসে মুশফিক বাউন্ডারি থেকে পেয়েছেন কেবল ৭৮ রান (১৮ চার ও ১ ছক্কা)। বাকি ১৪১ রানই করেছেন উইকেটের মাঝে দৌড়ে। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন যদি কিছু থাকে, তাহলে আমার দাঁড়িটা এখন বড় হয়েছে। এছাড়া কিছু না। তবে আগে খেয়াল করলে দেখবেন যে আমার প্রিয় শটে অনেক রান করেছি। কিন্তু এবার খেয়াল করে দেখেন আমি ওই শট ছাড়া অনেক রান করতে পেরেছি। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’
এসএএস/এমএস