রেকর্ডগড়া দ্বিশতক স্ত্রীকে উৎসর্গ মুশফিকের
এমন নয় যে ডাবল সেঞ্চুরি আগে করেননি মুশফিক। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২০১৩ সালের গল টেস্টে দেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার তিনি। তবু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির মাহাত্ম্যটাই অন্যরকম।
কেননা দেশের ইতিহাসের প্রথম এবং বিশ্ব ইতিহাসের উইকেটরক্ষক (চলমান) হিসেবে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার এখন তিনি। এছাড়াও দেশের মাটিতে, নিজ দেশের দর্শকদের সামনে, গ্যালারিতে থাকা নিজের বাবার সামনে এটিই তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। তাই তো উদযাপনেও দেখা গিয়েছে ভিন্নতা।
সিকান্দার রাজার করা বলটি আলতো করে লেগসাইডে ঠেলে দিয়ে দুইশতম রানটি নিয়েই সেঞ্চুরির পরে যেমন দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে, বুক চিতিয়ে আকাশপানে চেয়ে উদযাপন করেছিলেন, ঠিক একইভাবে করেন ডাবল সেঞ্চুরি হওয়ার পরেও। তবে এবার করেন বাড়তি উদযাপন। হাতের গ্লাভস খুলে প্যাভিলিয়নের দিকে দুই হাত দিয়ে ভালোবাসা চিহ্ন একে নিজের এই সেঞ্চুরিটি যেন প্রিয়তমা স্ত্রীকে উৎসর্গ করেন তিনি।
তখনো পর্যন্ত এটি ছিল কেবলই অনুমান। যা কি-না সত্যি প্রমাণিত হয় সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিকুর রহিমও একই কথা জানালে। নিজের উদযাপনের এই ভিন্নতা কেনো জানতে চাওয়া হলে উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসমান জানান স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশের কারণেই এমন উদযাপন।
তিনি বলেন, ‘আজকেরটা আগে থেকে প্ল্যান ছিল ওই জায়গায় যেতে পারলে আমার সহধর্মিনীকে উৎসর্গ করব। কারণ এটা আসলেই স্পেশাল। ওর অবদান অনেক বড়। কারণ আপনারা জানেন, আমি মন খারাপ করে থাকি বা এটা করে থাকি। কিন্তু বিয়ের পর এটা আমার অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। বাচ্চার পর তো আরও বেশি। আর আমার ফোনের ওয়ালপেপারে ওর ছবি। একটু হাসি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সবকিছু মিলে আলহামদুলিল্লাহ।’
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে হেলমেট পরে ব্যাটিং করলেও চা পানের বিরতির পরে নিজের পুরনো রং চটে যাওয়া ক্যাপ নিয়ে নামেন তিনি। যা কি-না তিনি ব্যবহার করছেন নিজের অভিষেক টেস্ট থেকেই। মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতি বিজরিত ক্যাপ নিয়ে নামার বিশেষ কোনো কারণ ছিলো কি-না জানতে চাওয়া হয়।
মুশফিক জবাব দেন, ‘ক্যাপটা তো অবশ্য স্পেশাল। কিন্তু আমিও আসলে বুঝতে পারি না, এটা এত ডিসকালার হয়ে গেল কেন। এত বড় বা এত বেশি রানও তো হয়নি। হয়তো কিপিং করে হতে পারে, কারণ প্রায় প্রতি ম্যাচেই তো অনেক বেশি সময় কিপিং করতে হয়।’
এসএএস/এমএস