দশ ঘণ্টা ব্যাটিংয়ের পর কিপিংয়েও মুশফিক
বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটিংয়ের বড় রহস্যের একটি হলো দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের ব্যাটিং পজিশন। অন্য সব দলে যেখানে সেরা ব্যাটসম্যানরা খেলে থাকেন তিন-চার নম্বর পজিশনে। সেখানে মুশফিকুর রহীম ব্যাট করতে নামেন পাঁচ কিংবা ছয় নম্বরে।
এর পেছনে অবশ্য ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যাও রয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় ৯০-১০০ ওভার কিপিং করে উপরের দিকে ব্যাটিং করাটা বেশ ঝক্কি এবং ক্লান্তির। সে কারণেই মূলতঃ একটু নিচের দিকেই নামেন মুশফিক। কিন্তু যখন ঘটনাটা উল্টে যায়? অর্থাৎ ১০০ ওভার ব্যাটিং করে নামতে হয় কিপিংয়ে, তখন?
তখন তো কাজটা মোটেও সহজ হওয়ার কথা নয়। বরং বেশ ক্লান্তির। সেই কাজটিই করে দেখালেন মুশফিক। ব্যাট হাতে ২১৯ রানের ইনিংস খেলার পরে ফিল্ডিংয়েও নামলেন কিপিং গ্লাভসজোড়া হাতে গলিয়ে। ব্যাটিং গ্লাভস খুলে হাতের ঘাম শুকানোরও সময়টা হয়তো পাননি তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের রেকর্ড গড়ার পথে মুশফিক খেলেছেন ৪২১টি বল, ব্যাটিং করেছেন ৫৮৯ মিনিট, ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে উইকেটে আসার পরে সেখানে টিকে ছিলেন ১৪৮টি ওভার। তবু উইকেটরক্ষকের দায়িত্বটাও নিজের কাছেই রেখেছেন তিনি।
মুশফিকের সামনে অবশ্য সুযোগ ছিলো নিজেকে সাধারণ ফিল্ডার হিসেবে নামিয়ে দলের সতীর্থ লিটন দাস কিংবা মোহাম্মদ মিঠুনের কাছে গ্লাভস ছেড়ে দেয়ার; কিন্তু সে পথে হাটেননি দেশের অন্যতম সেরা এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
কারণ তিনি নিজেই বেশ কয়েকবার ভিন্ন ভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, উইকেটরক্ষকের জায়গা থেকেই সবচেয়ে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারেন খেলাটা। একারণেই প্রায় দশ ঘণ্টা ব্যাটিং করার ক্লান্তি থাকা স্বত্ত্বেও ফিল্ডিংয়ে নামার সময় গ্লাভসজোড়া হাতে পরেই নেমেছেন মুশফিক।
এসএএস/আইএইচএস/এমএস