সাকিবকে ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় মুশফিক
ততক্ষণে ১৫৫ ওভার হয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংসে, দলীয় সংগ্রহ ছাড়িয়েছে ৫০০। ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন মুশফিকুর রহীম, ফিফটি হয়ে গেছে মেহেদি হাসান মিরাজেরও। তবু ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসছিলো না ড্রেসিংরুম থেকে। বোঝা গেলো দলীয় সংগ্রহকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে মুশফিককে ব্যক্তিগত মাইলফলক অর্জনের সুযোগ করে দিতেই ইনিংস ঘোষণায় বিলম্ব।
হলোও তাই! ইনিংসের ১৬০তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে মুশফিক পৌঁছে যান ২১৮’তে। যা কি-না টেস্ট ক্রিকেটে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি সিঙ্গেল নেন মুশফিক থামেন ২১৯ রানে। বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা করা হয় ৫২২ রানে।
মেহেদি হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে অষ্টম উইকেটে দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ১৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে খেলা ২১৯ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসে মুশফিক ছাড়িয়ে গেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।
এতোদিন ধরে দেশের ইতিহাসে টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের রেকর্ডটি ছিলো সাকিবেরই দখলে। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। একই ইনিংসেই ১৫৯ রান করেছিলেন মুশফিকও।
সেবার অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিবকে রেকর্ড করতে দেখা মুশফিকই এবার এ রেকর্ডকে নিয়ে গেলেন ২১৯ রানে। এছাড়াও দেশের ইতিহাসের প্রথম এবং বিশ্ব ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার এখন তিনি।
মুশফিকের এ রেকর্ডগড়া ডাবল সেঞ্চুরির আগে বাংলাদেশের পক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে আরও তিনটি। ২০১৩ সালে মুশফিকুর রহিম শ্রীলংকার মাটিতে ২০০ এবং ২০১৭ সাকিব আল হাসান নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২১৭ রানের ইনিংস খেলার ফাঁকে ২০১৫ সালে দেশের খুলনায় ২০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ
১. মুশফিকুর রহীম : ২১৯* বনাম জিম্বাবুয়ে, ২০১৮
২. সাকিব আল হাসান : ২১৭ বনাম নিউজিল্যান্ড, ২০১৭
৩. তামিম ইকবাল : ২০৬ বনাম পাকিস্তান, ২০১৫
৪. মুশফিকুর রহিম : ২০০ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৩
৫. মোহাম্মদ আশরাফুল : ১৯০ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৩
এসএএস/আইএইচএস/এমএস