আফ্রিদি-ফাখরের কাছে উড়ে গেল নিউজিল্যান্ড
শহিদ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেকদিন হয়ে গেল। এবার আরেক আফ্রিদির রাজত্ব শুরু হলো পাকিস্তান ক্রিকেটে। যাকে ইতিমধ্যেই চিনে ফেলেছে ক্রিকেট সমর্থকরা। শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাম হাতি এই মিডিয়াম পেসারকে ইতিমধ্যেই অনেকে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করা শুরু করেছে।
নিজের জাত চেনানোও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এই যেমন শুক্রবার রাতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংকে একার হাতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই বামহাতি পেসার। ৯ ওভার বোলিং করে ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিউজিল্যান্ডও ৯ উইকেটে করেছে মাত্র ২০৯ রান।
জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন আরেক তরুণ তুর্কী। ওপেনার ফাখর জামান। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই নিজেকে চিনিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। শুক্রবার রাতে কিউই বোলারদের থোড়াই কেয়ার করেছেন তিনি। তার ৮৮ বলে খেলা ৮৮ রানের ওপর ভর করে ৪০.৩ ওভারেই ৬ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। সে সঙ্গে সিরিজেও সমতা এনেছে সরফরাজ আহমেদের দল।
আবু ধাবির শেখ জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইমাম-উল হককে হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ৩৪ বল খেলে মাত্র ১৬ রান করে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ইমাম-উল হক।
এরপর অবশ্য ফাখর জামান আর বাবর আজম মিলে জয়ের মূল কাজটা করে ফেলেন। দু’জন মিলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। এর আগে ৫৪ রানের জুটি গড়ে যান ইমাম-উল হক। যদিও দলীয় ১৫৫ এবং ১৫৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান সেট হওয়া দুই ব্যাটসম্যান ফাখর জামান আর বাবর আজম। ৫০ বলে ৪৬ রান করেন বাবর।
মোহাম্মদ হাফিজ শেষ দিকে ২৭ রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন। এর মধ্যে ১০ রান করে শোয়েব মালিক এবং ১৩ রান করে আউট হয়ে যান সরফরাজ আহমেদ। লোকি ফার্গুসন ৬০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকটে এবং ইশ সোধি ২১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্রেন্ডন টেলরের অপরাজিত ৮৬ রান সত্ত্বেও ২০৯ রানে থেমে যেতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। ১২০ বল খেলে ৮৬ রান করেন টেলর। ৩৩ রান করেন হেনরি নিকোলস। ২৮ রান করেন জর্জ ওয়ার্কার।
শাহিন আফ্রিদির ৪ উইকেট ছাড়াও ২ উইকেট নেন হাসান আলি এবং ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ হাফিজ ও শাদাব খান।
আইএইচএস/এমএস