মাশরাফির ক্যারিয়ারের স্মরণীয় এক দিন আজ
৮ নভেম্বর। চাইলেই কি এই দিনটিকে ভুলে যেতে পারবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা! কি করে? বিশ্ব ক্রিকেটে তার যে এত নাম, মানুষের এত ভালোবাসা সবই তো এই দিনটি দিয়ে শুরু। ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ দলের জীবন্ত এই কিংবদন্তির।
মাশরাফির ক্যারিয়ারের শুরুটাই হয়েছিল চমক জাগিয়ে। একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ না খেলেও টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় নড়াইলের ১৮ বছর বয়সী পেসারের। সৌভাগ্যের রাজটীকা কপালে নিয়েই যেন তার জন্ম।
ওই সময়ের জিম্বাবুয়ে ছিল ভীষণ শক্তিশালি, যারা বাংলাদেশকে বলে কয়ে হারিয়ে দিতো। মাশরাফির ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচটিতে বৃষ্টির কল্যাণে ড্র পেয়ে যায় টাইগাররা। এক ইনিংস বল করার সুযোগ পেয়ে নড়াইল এক্সপ্রেস নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
যার হাতের রেখায় মিশে আছে সৌভাগ্য। সেই মাশরাফির জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য চোট। তাকে একটা সময় মনে করা হতো বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার। ২০০০ সালে দিকেই ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারতেন। চোটাঘাত আর অস্ত্রোপচার গতিটা কমিয়ে দিয়েছে আস্তে আস্তে।
টেস্টের নেতৃত্বও পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ওই টেস্টেই চোট নিয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয় মাশরাফিকে। তারপর আর টেস্ট খেলার মতো অবস্থায় পৌঁছতে পারেননি।
টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন গত বছরের এপ্রিলে। তবে এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের সফলতম অধিনায়ক এই মাশরাফিই। তার কাঁধে চড়ে একদম বদলে গেছে দেশের ওয়ানডে ক্রিকেট। সামনে বিশ্বকাপ, মাশরাফির হাত ধরেই আরেকটি বড় স্বপ্নপূরণের আশায় দিন গুণছেন কোটি টাইগার ভক্ত।
এমএমআর/জেআইএম