টানা চার বলে চার উইকেট কাশ্মীরি বোলারের
টানা চার বলে চার উইকেট নেয়ার নজির একেবারে যে নেই তা নয়, তবে তা ইতিহাসে খুবই কম। ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে টানা চার বলে চার উইকেট নেয়ার নজির ছিল কেবলমাত্র একবারই। এবার সেই নজিরে ভাগ বসিয়ে দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের এক পেসার। নাম মোহাম্মদ মুধাসির। রাজস্থানের বিপক্ষে টানা চার বলে চার উইকেট নিলেন তিনি।
ঘরের মাঠ জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির প্রথম দিনের শেষে রাজস্থান ৩ উইকেটে ৩০০ রান তোলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে চালকের আসনে দেখা যাচ্ছিল। ওই অবস্থা থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে রাজস্থান। কিন্তু কী আশ্চর্য, ৩০০ থেকে ৩৭৯ রানে গুটিয়ে গেলো রাজস্থানের প্রথম ইনিংস। নেপথ্যে বড় কুশিলব মুধাসিরের অসাধারণ একটি স্পেল।
রঞ্জি ট্রফির ২০১৮-১৯ মৌসুমের শুরুতেই হ্যাটট্রিটের ঘটনা এটাই প্রথম। এখনও পর্যন্ত আর কোনো বোলার হ্যাটট্রিক করতে পারেনি। মৌসুম শুরু মাত্র দ্বিতীয় দিনেই এমন অসাধারণ এক কীর্তি ঘটিয়ে বসলেন মুধাসির। তিনিই প্রথম বোলার যিনি টানা চারটি উইকেটই নিয়েছেন এলবিডব্লিউর মাধ্যমে।
১৯৮৮ সালে শঙ্কর শাইনি নামের এক বোলার প্রথম টানা চার বলে চার উইকেট নেয়ার কীর্তি দেখিয়েছিলেন। দিল্লির হয়ে খেলেছিলেন শঙ্কর, হিমাচলের বিপক্ষে। ৩০ বছর বয়সী মুধাসির টানা চার বলে চার উইকেট নেন চেতন বিস্ট, তাজিন্দর সিং ধিলন, রাহুল চাহার এবং তানভির মাশারত-উল হকের।
জম্মু ও কাশ্মীরের অধিনায়ক পারভেজ রসুল এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। মুধাসিরের বোলিং নৈপুণ্যে ৩৭৯ রানেই অলআউট রাজস্থান। চেতন বিস্ট করেন ১৫৯ রান। অশোক মেনারিয়া করেন হাফ সেঞ্চুরি। মেনারিয়া ব্যক্তিগত ৫৯ রানে মুধাসিরের বলে পরশ শর্মার হাতে ধরা পড়েন। ইনিংসের ৯৭ তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন মেনারিয়া।
পরের ওভারে বল করতে এসে অর্থাৎ ৯৯তম ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে মুধাসির ফিরিয়ে দেন যথাক্রমে চার ব্যাটসম্যানকে। আউট হওয়ার আগে বিস্ট ১৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেও বাকি তিনজন রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
ইনিংসে মুধাসির ৯০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন। উমর নাজির ও রোহিত শর্মা নেন দু’টি করে উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন পারভেজ রসুল। ইরফান পাঠান ২০ ওভার বল করেও কোনও উইকেট পাননি। গতবছর ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ৩০ বছর বয়সি মোহাম্মদ মুধাসির।
আইএইচএস/এমএস