বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মাসাকাদজাকে ফেরালেন রাহী
লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশ ২ উইকেট তুলে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ের। কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে ওঠা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন। জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের এটা ছিল টেস্টে ৮ম হাফ সেঞ্চুরি। ব্রায়ান চারি এবং ব্রেন্ডন টেলরের উইকেট নিতে পারলেও প্রথম সেশনে মাসাকাদজার উইকেট নিতে পারছিল না বাংলাদেশের বোলাররা।
অবশেষে দ্বিতীয় সেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই মাসাকাদজাকে তুলে নিলেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। দ্বিতীয় সেশন শুরুর প্রথম ওভারের শেষ বলে মাসাকাদজাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রাহী। ১০৫ বল খেলে ৫২ রান করেই বিদায় নিতে হলো জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় জিম্বাবুয়ের রান ৩৫.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৭। শন উইলিয়ামস ব্যাট করছেন ২৩ রান নিয়ে। ২ রান নিয়ে তার সঙ্গী সিকান্দার রাজা।
এর আগে শেষ হয় প্রথম সেশন। ৩১ ওভারের খেলা হলো এই এক সেশনে। ২.৭৪ রেটে রান তুললো সফরকারী জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে ৮৫ রান তুললেও ২ উইকেট হারাতে হয়েছে সফরকারীদের। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সফল বোলার তাইজুল ইসলাম। একাই দুই উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
টেস্টে সাধারণত টস জিতলে ব্যাটিংই বেছে নেন প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো। টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার ঘটনা খুবই ব্যতিক্রম। দু’একবার ঘটে থাকে। সিলেটে অভিষিক্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতলে হয়তো ব্যাটিংই নিতেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, টস হেরে গেলেন তিনি। অপরদিকে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলো জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালোই ছিল। দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আর ব্রায়ান চারি মিলে সত্যিকার টেস্ট খেলার দিকেই মনযোগ দিয়েছিলেন। আবু জায়েদ রাহি এবং তাইজুল ইসলামের বল প্রথম থেকেই টার্ন করা শুরু করেছিল। ক্রিকইনফোর কনেমন্টারিতেই খেলা শুরুর আগে বলা হয়েছিল, বল টার্ন করার সম্ভাবনা বেশি।
সে কারণেই শুরু থেকে বিধ্বংসী হয়ে ওঠার চেষ্টা আবু জায়েদ আর তাইজুল ইসলামের। আবু জায়েদের একটি বলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা পরাস্ত হলে আউটের আবেদন করে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা। পরে রিভিউও নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। যদিও তখন দেখা গেলো বল ব্যাটের প্রান্ত ছুঁয়েছিল। ফলে নট আউট।
তবে মাসাকাদজা আর চারি জুটিকে খুব বেশিদুর এগুতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের ১১তম ওভারে এসে ৩৫ রানের জুটিটা ভেঙে দিলেন তিনি। সরাসরি বোল্ড করলেন ব্রায়ান চারিকে। খুব বাজেভাবে স্লগ করতে গিয়েছিলেন চারি। বল ব্যাট মিস করে সোজা মিডল স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। বলা যায়, তাইজুলকে উইকেটটা উপহারই দিয়ে আসলেন ব্রায়ান চারি।
ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামলেন জিম্বাবুয়ের নির্ভরযোগ্য ব্যাটনসন ব্রেন্ডন টেলর। ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। এ কারণে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গে তার জুটিটা ভালোই হবে- এটাই কাম্য ছিল জিম্বাবুইয়ানদের। কিন্তু তাইজুলের ঘূর্ণির কাছে আবারও পরাস্ত হতে হলো জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপকে।
মাসাকাদজার সঙ্গে মাত্র ১২ রানের জুটি গড়েন টেলর। এরই মধ্যে ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলটিকে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন টেলর। কিন্তু শট লেগে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্ত মাটি কামড়ানো শটটি তালুবন্দী করে ফেলেন। আম্পায়ার আউট দিলেও কিছুটা সংশয় ছিল টেলরের মনে। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেলো সত্যি সত্যি আউট। দুর্দান্ত বোলিং করলেন তাইজুল। ক্যাচটাও ছিল দুর্দান্ত। ৬ রান করে বিদায় নিলেন ব্রেন্ডন টেলর।
আইএইচএস/এমএস