প্রথম টেস্টে পরীক্ষা-নিরীক্ষা নাকি সেরা একাদশ, অধিনায়ক কি চাইছেন?
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। একটা সময় এই দলকে সমীহ করলেও এখন তাদের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় পায় বাংলাদেশ। কি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি কিংবা টেস্ট; সব ফরমেটেই শক্তিমত্তায় যোজন যোজন এগিয়ে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের কাউকে তাই আলাদা করে ভয় পাওয়ার কিছু দেখছেন না ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। মাহমুদউল্লাহই তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন। যার প্রথমটি কাল শুরু হচ্ছে সিলেটে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ চার টেস্টেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আছে চার বছর আগে ঘরের মাঠে তাদের ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করার সুখস্মৃতিও।
সবমিলিয়ে এই সিরিজে পরিষ্কার ফেবারিট বাংলাদেশ। তারপরও প্রতিপক্ষ দলের কাউকে কাউকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করতে হয়। বিশেষ করে বোলারদের সামলানোর ব্যাপারে বাড়তি কাজ করতে হয় ব্যাটসম্যানদের।
তবে মাহমুদউল্লাহ মনে করছেন না, জিম্বাবুয়ের এমন কোনো বোলার আছেন যাকে নিয়ে ভয় পেতে হবে বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষকে সম্মান দিলেও নিজের দলের ব্যাটসম্যানদের প্রতি আস্থা আছে মাহমুদউল্লাহ।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক বলেন, 'আমরা তাদের আলাদা কোনো বোলারকে নিয়ে চিন্তা করছি না। আমার মনে হয়, দলের ব্যাটসম্যানরা তাদের সামলানোর মতো যথেষ্ট দক্ষ। তাদের বোলিং আক্রমণ অবশ্য ভালো। তবে আমার মনে হয় না আলাদা কোনো বোলারকে নিয়ে আমাদের ব্যাটসম্যানরা দুশ্চিন্তা করবে।'
প্রতিপক্ষ নিয়ে যখন দুশ্চিন্তা নেই। তবে তো একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই পারে বাংলাদেশ! সাকিব-তামিম নেই। তাদের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজ দিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, আরিফুল হক ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
তবে দলে তরুণরা আসলেও তাদের প্রাধান্য দিয়েই একাদশ গড়া হবে, এই নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না মাহমুদউল্লাহ। বরং প্রথম ম্যাচে সেরা একাদশটাই দেখতে চান তিনি, 'প্রথম ম্যাচে আমরা সম্ভাব্য সেরা একাদশ নিয়ে খেলব। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি যে ফরম্যাটই হোক, প্রথম ম্যাচ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, আমাদের শুরুটা যখন ভালো হয়, আমরা অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারি। তো সেরা একাদশটিই খেলার সুযোগ পাবে। কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলে সেটা দ্বিতীয় টেস্টে হতে পারে।'
এমএমআর/এমএস