‘টেস্টেও ভালো করার প্রত্যাশা’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার ইমরুল কায়েস তো যেন একের পর এক নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছিলেন। সব মিলিয়ে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ।
ওয়ানডে সিরিজ শেষ। এবার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ৩ নভেম্বর শুরু হবে সিলেট থেকে। ওয়ানডের মতো কিন্তু টেস্টে এতটা শক্তিশালী নয় বাংলাদেশ। তবুও প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলে টেস্ট সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক, বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, ওয়ানডের মতো টেস্টেও ভালো করবে বাংলাদেশ।
আকরাম খান বলেন, ‘ওডিআই খুব ভালো গেছে। প্রথমটা (প্রথম ম্যাচ) নড়বড়ে থাকলেও সিরিজটা আমরা জিতে যাই। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতলে মানসিকভাবে দল এগিয়ে থাকে। বাংলাদেশ খুব ডমিনেট করে খেলেছে। এটা সত্যি যে, আমরা ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যেভাবে খেলি, টেস্টে আমাদের সে পারফরম্যান্স নেই। তবে আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। আশাকরি এই সিরিজেও দল ভালো করবে।’
তবে টেস্ট সিরিজে সাকিব-তামিমের অভাব বেশ বোধ করবেন বলেও জানান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘যদিও আমাদের সেরা দুজন খেলোয়াড় এই মুহূর্তে নেই। তাদেরকে হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে পাবো। আমি মনে করি এটা আমাদের তরুণদের জন্য দারুণ সুযোগ। ওরা যদি ওয়ানডের মতো পারফর্ম করে, তাহলে বাংলাদেশের দল গঠন করতে সহজ হবে।’
জানতে চাওয়া হয়েছিল ওয়ানডের মতো টেস্টেও কি তরুণরা দাপট দেখাতে পারবে? আকরাম খান আশাবাদী, যেভাবে ওয়ানডেতে খেলেছে সেভাবে খেললে টেস্টেও ভালো কিছু সম্ভব। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমরা জিম্বাবুয়ের চেয়ে ভালো দল। এটা মাথায় রাখতে হবে। টেস্টেও আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। আমাদের কোয়ালিটি প্লেয়ারও বেশি। বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, সেভাবে খেলতে ভালো কিছু হবে।’
কিন্তু যতই ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী হোক, টেস্টে কিন্তু ওয়ানডের মতো এতটা শক্তিশালী বোলিং বিভাগ নেই। সেটা মেনে নিয়েই কথা বললেন আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘সে জন্যই টেস্টে আমরা সেভাবে ভালো করছি না। এখনো কিছু জায়গা আছে, যেখানে আমাদের কোয়ালিটি প্লেয়ারের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আপনারা দেখেছেন টেস্টে কিছু নতুন খেলোয়াড় আছে, তারা কেমন পারফর্ম করে সেটা দেখতে হবে। টেস্ট জিততে হলে ২০টি উইকেট নিতে হবে। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে বোলারদেরও ভালো করতে হবে। তরুণদের জন্য এটা ভালো সুযোগ। তারা ভালো করলেই সমস্যার সমাধান।’
আইএইচএস/বিএ