প্লেয়ার্স ড্রাফটে থাকছেন না মাহেলা-ওয়াকার
প্লেয়ার্স ড্রাফট নিয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে একটা ধুম্রজাল রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে প্লেয়ার্স ড্রাফট বুঝি খোলা নিলাম। আসলে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। এখানে নিলামে দর কষাকষির কোনো প্রশ্নই থাকে না।
ব্যাপারটা এরকম প্রথমে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য ক্রম বাছাই করা হয়। তারপর সেই ক্রম অনুযায়ী প্রতিটি ক্যাটাগরির খেলোয়াড় বাছাই করে দলগুলো। খোলা নিলাম যেখানে দর কষাকষির ব্যাপার সেখানে প্লেয়ার্স ড্রাফট পুরোটাই ভাগ্যনির্ভর।
এ কারণে মূলত প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিন খুব বেশি কিছু করণীয় থাকে না। নিজেদের ক্রম অনুসারে খেলোয়াড় ডেকে নিলেই হয়ে যায় দল গোছানো। নির্দিষ্ট দিনে এই ঝামেলা এড়াতে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহণকারী দলগুলো আগেই ঠিক করে ফেলে কোন ক্রম পেলে কোন খেলোয়াড়কে ডাকবে তারা। প্লেয়ার্স ড্রাফটের বহুল প্রচলিত ধারাই বলা চলে এটিকে।
সে ধারা এবার বজায় রেখেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও আগেভাগেই নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছে অংশগ্রহণকারী দুই দল খুলনা টাইটানস এবং সিলেট সিক্সার্স। যে কারণে প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিন অর্থাৎ রোববার সকালে আর বাড়তি চাপ নিতে হবে না দুই দলকে।
তাই প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগের দিনই দেশে ফিরে যাবেন খুলনার কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং সিলেটের কোচ ওয়াকার ইউনুস। প্লেয়ার্স ড্রাফট সম্পর্কে পরিকল্পনা সাজাতে মাহেলা ও ওয়াকারকে বাংলাদেশে ডেকে এনেছিল খুলনা ও সিলেট। মাহেলা গত বৃহস্পতিবার এবং ওয়াকার আসেন আজ (শনিবার)।
এরই মধ্যে দলের সাথে প্লেয়ার্স ড্রাফট সম্পর্কিত বৈঠক শেষ করে সংবাদমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনও করেছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি, খুলনার কোচ মাহেলা। শনিবার সকালে তিনি চলে গিয়েছেন নিজ দেশে। মাহেলা যাওয়ার কিছু আগে বাংলাদেশে এসেছেন ওয়াকার। আজ সারাদিন দলের সাথে বৈঠক শেষে রাতে তিনিও ফিরে যাবেন নিজ দেশে। জাগোনিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনার মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দিন খান ও সিলেটের মিডিয়া ম্যানেজার তামজিদ।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মাহেলা কথা বলেছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তারা এখন অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি চলে এসেছে। তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে উন্নতি চালিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। আমি মনে করি না কোনো দলই, এমনকি বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দলও এমন ভেবে বিশ্বকাপ খেলতে আসবে যে, আমরা এটা জিতব না। যদি এমন হয়, তবে তাদের সেখানে খেলাই উচিত নয়।’
বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে জয়াবর্ধনে বলেন, ‘তাদের এই মানসিকতা নিয়েই যেতে হবে। আপনারা আবার লিখে দিয়েন না যে আমি বলেছি, এবার বাংলাদেশ জিততে পারে। আমি বলেছি, প্রতিটি দলেরই বিশ্বকাপ জয়ের মানসিকতা নিয়ে প্রতিযোগিতায় যাওয়া উচিত। যদি তাদের সেটা না থাকে, তবে ঘরে বসে থাকাই ভালো।’
এআরবি/এসএএস/জেআইএম