সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি হলো না তুষারের
ব্যাট করতে নামলাম, সেঞ্চুরি করলাম, চলে এলাম; সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে এ ব্যাপারটাকে একপ্রকার রুটিনে পরিণত করেছেন ৩৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান। চলতি ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের তিন রাউন্ডেই যেমন হাঁকিয়েছেন টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৩টি সেঞ্চুরি।
ঘরের মাঠ খুলনার শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে তিন অঙ্কের জাদুকরী সংখ্যা ছোঁয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তুষার। কিন্তু পারেননি ক্যারিয়ারের ৩২তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি ও চলতি লিগের চতুর্থ সেঞ্চুরিটি তুলে নিতে। থেমেছেন ৭১ রান করে।
তুষারের পাশাপাশি দুই তরুণ ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকারও খেলেন পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। দুজনই ব্যর্থ হন ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে। প্রথম দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮১ রান। ৩৭ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন জিয়াউর রহমান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অনিয়মিত ওপেনার মেহেদি হাসানের উইকেট হারায় খুলনা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন এনামুল বিজয় ও সৌম্য সরকার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে চলতি লিগে নিজের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। ৯৬ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
সৌম্য ও বিজয় ফিরে যাওয়ার পর হাল ধরেন তুষার। ব্যর্থ হন আফিফ হোসেন ধ্রুব (১৪) ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান (২৫)। তবে জিয়াকে সাথে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তুষার।
ক্যারিয়ারের ৫৭তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরিতে তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। দিন শেষের ৮ বল আগে সানজামুল ইসলামের বোলিংয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তুষার। ১২৭ বলের ইনিংসে ৯টি চার মারেন তিনি। অন্যদিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন জিয়া।
রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল। এছাড়া ফরহাদ রেজা এবং শফিউল ইসলাম ও মুক্তার আলী নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
এসএএস/এমএস