ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

নিরপেক্ষ আদালতেও মুক্তি মিলল না পাকিস্তানি ক্রিকেটারের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮

ম্যাচ ফিক্সিং করে আর কেউ বাঁচতে পারবে না। আইসিসি থেকে শুরু করে প্রতিটি দেশের ক্রিকটে বোর্ডের নেয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে এই বার্তাই এখন পৌঁছে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের কাছে। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ফিক্সিংয়ের অপরাধে গত আগস্টে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন পাকিস্তানি ওপেনার নাসির জামশেদ।

সেই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেও মুক্তি মিললো না নাসির জামশেদের। নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালে শুনানির পরও বহাল রাখা হলো তার ১০ বছরের শাস্তি। আজই এই রায় ঘোষণা করে বিচারপতি মিয়াঁ হামিদ ফারুক।

পিসিবির বিশেষ অ্যান্টি করাপশন ট্রাইব্যুনাল আগস্টেই ঘোষণা করেছিল ১০ বছর নিষেধাজ্ঞার এই শাস্তি। সেই শাস্তি চ্যালেঞ্জ করার পর পিসিবি বিচারপতি মিয়াঁ হামিদ ফারুককে দিয়ে নিরপেক্ষ আদালত গঠন করে। সেখানেও কোনো মুক্তি পেলেন না তিনি। বিচারপতি মিয়াঁ হামিদ ফারুক জানিয়ে দিয়েছেন, আগের ট্র্যাইব্যুনালের দেয়া রায়ে সঠিক বিচারই দেখতে পেয়েছেন তিনি। সুতরাং, সেই শাস্তিই চলতে থাকবে।

এমনকি শাস্তি তো কমানোই হয়নি বরং, আরও দুটি শাস্তি যোগ করা হয়েছে নাসির জামশেদের নামের পাশে। নাসির জামশেদকে সেইসব ক্রিকেটারদের তালিকায় রাখতে বলা হয়েছে, যাদের সঙ্গে কোনো ক্রিকেটার এবং স্টেকহোল্ডার কোনো সম্পর্ক রাখবে না। অর্থ্যা, একঘরে করে রাখার কঠিন সিদ্ধান্ত।

দ্বিতীয় অতিরিক্ত শাস্তি হচ্ছে, পিসিবির অ্যান্টি করাপশন কোডের ৬.২ নম্বর আর্টিকেল অনুযায়ী ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনো ম্যানেজমেন্ট কিংবা অ্যাডমিনেস্ট্রেশনে নাসির জামশেদকে কোনো দায়িত্ব দেয়া যাবে না কিংবা তাকে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান দুর্নীতির বিপক্ষে যে লড়াই করে যাচ্ছে সেটা চলমান থাকবে। খেলাটির সব পর্যায় থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করার জন্য সম্ভব সব কিছু করে যাবে পিসিবি।’

পিএসএলের ২০১৬-১৭ মৌসুমে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। যাদের মধ্যে অন্যতম শাহজাইব হাসানকে গত ১০ আগস্ট ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল পিসিবি। ঠিক এক সপ্তাহ পর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় জামশেদকে।

চলতি বছরের এপ্রিলে নিজের উপরে আসা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন জামশেদ। ফলে বাধ্য হয়েই পিসিবির তখনকার চেয়ারম্যান নাজম শেঠি একটি তিন সদস্যের অ্যান্টি করাপশন ট্রাইবুনাল গঠন করেন। যেখানে ছিলেন সাবেক তিন ক্রিকেট ফজলে মিরান চৌহান, শাহজাইব মাকসুদ ও আকিব জাভেদ।

এই ট্রাইবুনালের রায়েই ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন জামশেদ। শাহজাইব ও জামশেদ ছাড়াও একই ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা ভোগ করছেন শারজিল খান, খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।

আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন