স্পিনার ছাড়াই জিম্বাবুয়েকে কোণঠাসা করে রেখেছে বিসিবি একাদশ
একাদশে আছেন নিয়মিত স্পিনার নাঈম হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব; প্রায়ই হাত ঘুরিয়ে থাকেন ফজলে রাব্বি মাহমুদ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। তবু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ইনিংসের ২৩ ওভার শেষেও তাদের বোলিংয়ে আনার প্রয়োজন পড়ছে না বিসিবি একাদশের।
অবশ্য প্রয়োজন পড়বেই বা কেন! বিসিবি একাদশের পেসারদের বিপক্ষেই যে কোনো জবাব খুঁজে পাচ্ছে ন সফরকারী জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক সৌম্য সরকারসহ পাঁচ পেসারের তোপে ৫০ রানেই সাজঘরে ফিরে গেছে পাঁচ ব্যাটসম্যান। ষষ্ঠ উইকেটে ধাক্কা সামাল দিলেও রানের চাকা স্লথই রয়েছে জিম্বাবুইয়ানদের।
সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা পরিষদের (বিকেএসপি) তিন নাম্বার মাঠে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন এবাদত হোসেন চৌধুরী, আউট হওয়ার আগে আরভিন করেন ১ রান।
পরের ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুইয়ানদের অন্যতম ভরসার পাত্র ব্রেন্ডন টেলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন চৌধুরী। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামস। তখনই আবার আঘাত হানেন এবাদত। ফিরিয়ে দেন উইলিয়ামসকে।
নিজের প্রথম স্পেলে এবাদত হোসেন চৌধুরীর বোলিং ফিগারটা ৫-২-৭-২! এবাদতকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেয়ার পরে উইকেট নেয়ার খাতায় নাম লেখান মোহর শেখ অন্তর ও ইমরান আলী। দলীয় ২৮ রানে সিকান্দার রাজাকে ফেরান মোহর, ৪৭ রানের মাথায় ইমরানের শিকারে পরিণত হন পিটার মুর।
মাত্র ১৬ ওভারেই ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের হাল ধরেছেন অধিনায়ক মাসাকাদজা এবং সাবেক অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৪ রান। চিগুম্বুরা ১৭ এবং মাসাকাদজা ৩৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
প্রস্তুতি ম্যাচের বিসিবি একাদশ: সৌম্য সরকার, মিজানুর রহমান, ফজলে রাব্বি মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, জাকির হোসেন, আরিফুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সাইফউদ্দিন, এবাদত হোসেন চৌধুরী, ইমরান আলী, নাঈম হাসান, মোহর শেখ অন্তর ও ইয়াসিন মিশু।
এসএএস/জেআইএম