বিজয়-সৌম্যের ফিফটির পর সাজেদুলের বোলিং তোপ
বৃষ্টিতে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি কক্সবাজার ও বরিশালে। তবে বগুড়া ও খুলনায় হয়েছে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনের খেলা। যেখানে ব্যাটে-বলে হয়েছে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ লড়াই।
খুলনায় শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছে স্বাগতিক খুলনা ও রংপুর বিভাগ। ব্যাটে-বলের সমানে-সমান লড়াইয়ে প্রথম দিন শেষে এগিয়ে নেই কেউই। দিন শেষে স্বাগতিক খুলনার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৭২ রান। ব্যাট হাতে ফিফটি করেছেন এনামুল বিজয় ও সৌম্য সরকার, বল হাতে ৪ উইকেট দখল করেছেন সাজেদুল হক।
প্রথম স্তরে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থাকা রংপুর টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন খুলনার ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি। দলীয় ২৩ রানের মাথায় ফেরেন ১২ রান করে। তবে তিন নম্বরে নেমে দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল বিজয়ের সাথে বড় জুটি গড়েন সৌম্য সরকার।
মাত্র ৩০.৩ ওভারের জুটিতে ওভারপ্রতি প্রায় ৪ গড়ে দুজন মিলে যোগ করেন ১১১ রান। দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২৫তম ফিফটিতে ৫৬ রান করেন বিজয়। ১০৬ বলের ইনিংসে ৫টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
বিজয় ফিরে গেলেও প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফসেঞ্চুরি করে এগুচ্ছিলেন তৃতীয় সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তাকে ৭৬ রানেই থামিয়ে দেন রংপুরের বাঁহাতি পেসার সাজেদুল হক। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে কাটা পড়েন সৌম্য। ৮ চার ও ১ ছক্কার মারে ১৪১ বল খেলে এ রান করেন তিনি।
সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর ব্যাট হাতে রান করতে ব্যর্থ হন প্রথম দুই রাউন্ডের সেঞ্চুরিয়ান তুষার ইমরান, ফেরেন ১২ রান করেন। আফিফ হোসেন ধ্রুবও ফেরেন ১৫ রান করে। সপ্তম উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিয়াউর।
দিন শেষের ১০ বল বাকি থাকতে ৩৭ রান করে আউট হন মেহেদি। ৩৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান জিয়া। ১৮ ওভার বোলিং করে ৫৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার সাজেদুল।
এসএএস/এমএস