পাকিস্তানের জয় কেড়ে নিলেন খাজা-পেইন
শেষ দিনে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিলো ৭টি উইকেট, ম্যাচ বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার খেলতে হতো পুরো ৯০ ওভার। দুবাইয়ের অতীত ইতিহাস কিংবা উইকেটের বর্তমান অবস্থায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার জন্য কাজটি ছিলো মোটামুটি পাহাড় ডিঙোনোর সমান।
সেই কঠিন কাজটিই অনায়াসে করে ফেললেন ট্রাভিস হেড, উসমান ও টিম পেইনরা। সারা দিনে নিজেদের উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে হতো পুরো ৪৫০টি বল। পাকিস্তানের বৈচিত্রপূর্ণ বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিলো খুব অল্পই। কিন্তু বাজির দান উল্টে জয়ের সমানই এক ড্র পেলো অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ দিনে মোহাম্মদ আব্বাসের ১২ বলের ঝড় সামলে ৫০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য ৭ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ছিলো ৩২৬ রান। তবে শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার ভাবনায় জয়ের বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ড্র'টাই।
নিজেদের এ কাজে সফল হয়েছেন খাজা, পেইন, হেডরা। পঞ্চম দিন প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। দিনের প্রথমভাগটা নির্বিঘ্নেই পার করেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান খাজা ও হেড। তবে লাঞ্চের পরপরই পার্টটাইম স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজের বোলিংয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন অভিষিক্ত হেড। আউট হওয়ার আগে ১৭৫ বল খেলে ৭২ রান করেন তিনি।
হেড রান পেলেও ব্যর্থ হন আরেক অভিষিক্ত মারনাস লাবুচানে। পরে অধিনায়ক টিম পেইনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান খাজা। তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। পেইন ও খাজা মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ২১৮ বল খেলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি।
দিন শেষের ১৫ ওভার বাকি থাকতে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন পাকিস্তানি লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ। দুই ওভারের মধ্যে তুলে নেন তিন উইকেট। ৩০২ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ১৪১ রান করে ফেরেন খাজা। দিন শেষের তখনো বাকি প্রায় ১৩ ওভার, কিন্তু হাতে উইকেট মাত্র ২টি।
অফস্পিনার নাথান লিওনকে নিয়ে আবারও মাটি কামড়ে ব্যাটিং শুরু করেন অধিনায়ক পেইন। কাটিয়ে দেন বাকি ওভারগুলো। তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ২১৯ বল খেলে অপরাজিত থেকে ৬১ রান করে। ১৪০তম ওভারের পঞ্চম বলটি পেইন ঠেকিয়ে দিতেই উল্লাসে মেতে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুম। যেনো ম্যাচটি জিতেই নিয়েছে তারা। ২ উইকেট বাকি থাকায় ৯০ ওভার পূরণ হওয়ার এক বল আগেই ড্র মেনে নেয় পাকিস্তান।
প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার ম্যারাথন ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা জিতেছেন উসমান খাজা।
এসএএস/জেআইএম