তিতলির প্রভাবে ড্র এনসিএলের সব ম্যাচ
ঘুর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে দেশের আবহাওয়ায়। প্রচন্ড গরম কমে ঠাণ্ডা হতে শুরু করেছে পরিবেশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে এ ঘুর্ণিঝড়। এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দেশের ঘরোয়ার ক্রিকেটে ঠিকই দেখা গিয়েছে তিতলির প্রভাব।
চলতি এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের সবক’টি ম্যাচ নিষ্ফলা ড্র হয়েছে তিতলির প্রভাবে। কক্সবাজারে সিলেট-চট্টগ্রাম ম্যাচে তো প্রথমদিনের পরে আর খেলাই সম্ভব হয়নি। তবে ফলাফলের সম্ভাবনা ছিলো বাকি তিন ম্যাচে। কিন্তু তিতলির প্রভাবে হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে তিন ম্যাচের কোনোটাতেই শেষ দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। যার ফলে ড্র দিয়েই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের সবগুলি ম্যাচ।
খুলনায় বরিশালের প্রথম ইনিংসে করা ২৯৯ রানের জবাবে ভালোই জবাব দিচ্ছিলো খুলনা। জিয়াউর রহমানের সেঞ্চুরি ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান করেছিল স্বাগতিকরা। অপেক্ষায় ছিলেন ক্যারিয়ারের ৫ম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি শেষদিনের খেলা। হয়নি আফিফের সেঞ্চুরিও।
কক্সবাজারে সিলেটের বিপক্ষে সাদিকুর রহমানের সেঞ্চুরি ও ইয়াসির আলী রাব্বির ৮৪ রানের ইনিংসে প্রথম দিনেই ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করেছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে বাকি তিনদিনে এক বলও খেলা হয়নি।
ফতুল্লায় ঢাকা বিভাগকে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জায় ডোবানোর সকল প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল ঢাকা মেট্রো। প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগ অলআউট হয় ২০৬ রানে। সাদমান ইসলাম অনিকের ক্যারিয়ার সেরা ১৮৯ রানের ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর ইনিংস থামে ৩৮৭ রানে। লিড পায় ১৮১ রানের। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। কিন্তু তিতলির প্রভাবে শেষদিনে খেলা হয়নি বলে ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ঢাকা মেট্রোকে।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে রানবন্যার ম্যাচে হয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি, একটি রেকর্ডগড়া ডাবল সেঞ্চুরি। আরও সেঞ্চুরি হতে পারতো এ ম্যাচে। কিন্তু শেষ দিনে হয়নি খেলা, ড্র হয়েছে ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫১ রানে অলআউট হয়েছিল রংপুর। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৮৯ রান করে স্বাগতিক রাজশাহী। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭৩, মিজানুর রহমান ১৬৫ ও জিয়াউর রহমান খেলেন ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪৩৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে পাল্টা আক্রমণ চালান লিটন কুমার দাস। মাত্র ১৪০ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করে তিনি আউট হন ২০৩ রানে। তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৩১৯ রান করে রংপুর।
এসএএস/পিআর