এবার লিটন দাসের ব্যাটে ডাবল সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ারের সেরা সময় কি পার করছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার লিটন কুমার দাস? এশিয়া কাপের ফাইনালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করার পর এবার জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি করলেন রংপুর বিভাগের এই ওপেনার। ২০৩ রান করার পরই তাকে সাজঘরে ফেরাতে পেরেছেন রাজশাহীর বোলার তাইজুল ইসলাম।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাজশাহীর কাছে হার এড়ানোর লক্ষ্যে প্রাণপন লড়াই করছেন রংপুর বিভাগের ব্যাটসম্যানরা। সেই লড়াইয়ে দারুণ রসদ যুগিয়ে দিলেন লিটন দাস। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই ওপেনার।
এর আগে চলতি বছর এপ্রিলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএলে) পূর্বাঞ্চলের হয়ে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২৭৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। এবার খেললেন ২০৩ রানের ইনিংস।
এশিয়া কাপ খেলে আসার পর এনসিএলের প্রথম রাউন্ডে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারকে। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে মাঠে নেমেছেন লিটন দাসরা। প্রথম ইনিংসে নিজের নামের প্রতি তেমন সুবিচার করতে পারেননি। করেছিলেন মাত্র ১৭ রান। রংপুর বিভাগও অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৫১ রানে।
জবাব দিতে নেমে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা রীতিমত ঝড় বইয়ে দেয় রংপুরের বোলারদের ওপর। তিন সেঞ্চুরিতে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৮৯ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। দুটি বিশাল সেঞ্চুরি উপহার দেন রাজশাহীর দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মিজানুর রহমান। ১৭৩ রান করে আউট হন শান্ত এবং ১৬৫ রান করেন মিজানুর। ১০০ রান করেন জুনায়েদ সিদ্দিকি।
৪৩৮ রানে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রংপুর। প্রথম ইনিংসে যে পারফরম্যান্স তাতে করে নিশ্চিত ইনিংস পরাজয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লিটন দাসের দল। কিন্তু দুই ওপেনার শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন। ৯৮ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৩৫ রান করে বিদায় নেন জাহিদ জাভেদ। এরপর মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে আরও একটি বড় জুটি গড়েন লিটন। ১১৯ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন দু’জন। আউট হয়ে যান লিটন।
আউট হওয়ার আগে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ওয়ানডে স্টাইলে ঝড়ো গতিতে ব্যাট করেন তিনি। প্রথমে ৮১ বলে পূরণ করেন ক্যারিয়ারে ১৩তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি। এরপর ১৪০ বলে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। ৩২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল তার ৪টি ছক্কার মারও।
তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে রংপুরের ২ উইকেটে ৩১৯ রান নিয়ে। এখনও রাজশাহীর চেয়ে তারা পিছিয়ে ১১৯ রান। দিন বাকি একটি। হাতে উইকেট ৮টি। লিটনের মত যদি বাকিরাও ধরে খেলতে পারেন, তাহলে হয়তো বা ম্যাচটা ড্রও হতে পারে। দিন শেষে ৭২ রানে মাহমুদুল হাসান এবং ২ রানে উইকেটে রয়েছেন সাজেদুল ইসলাম।
আইএইচএস/জেআইএম