ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সাকিবের অবর্তমানে টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবনায় বিসিবি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১০:৩০ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৮

তামিম-সাকিব নেই। পঞ্চপাণ্ডবের বাকি তিনজন মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের অবস্থাও খুব ভালো নয়। তাদেরও ইনজুরি আছে। মাশরাফিরও হাতের আঙুলে ফ্র্যাকচারের মতো আছে। উরুতেও চোট আছে। মুশফিকের পাঁজরে ব্যাথা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও পিঠে ব্যথা।

তবুও ধারণা করা হচ্ছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে মাশরাফিই নেতৃত্ব দেবেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের স্থির বিশ্বাস, মাশরাফি সুস্থ এবং ওয়ানডেতে ঠিকই খেলবেন। তাইতো মুখে এমন কথা, ‘মাশরাফির ইনজুরি, তামিমের ইনজুরি। মাশরাফির সারা শরীরে ইনজুরি। ওর ইনজুরি নাই কই? তাও তো মনের জোরে খেলে।’

প্রশ্ন উঠেছে সাকিবের অবর্তমানে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করবেন কে? এর আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই ক্যাপ্টেন্সি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবারো তিনিই থাকবেন? নাকি অধিনায়কত্ব বদল হবে?

টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ অধিনায়ক থাকলেও টেস্টে দল পরিচালনার দায়িত্বে অন্য কেউ থাকবেন কি-না বা অন্য কাউকে টেস্ট ক্যাপ্টেন করা হবে কিনা? এমন প্রশ্ন উঠেছে। সেটা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণও আছে। অধিনায়কত্ব এখনো চূড়ান্ত নয়। তার প্রমাণ মিলেছে খোদ বিসিবি সভাপতির কথাতেই।

অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা উঠতেই অনেক কথার ভিড়ে পাপন বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ আমরা দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেব। আকরাম (ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান, বোর্ড পরিচালক আকরাম খান) আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমরা একটু চিন্তা করে তারপর দেখব কী করা যায়।’

শেষ কথাটি একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন, আকরাম ফোন করেছিল, আমরা একটু চিন্তা করে দেখবো কী করা যায়? তার মানে অধিনায়কত্বের বিষয়টি ঠিক আগের জায়গায় নেই। আগে তো মাহমুদউল্লাহ সাকিবের বদলে অধিনায়কত্ব করেছিলেন। এবার নিশ্চয়ই বিকল্প চিন্তা আছে। সাকিবের বিকল্প হিসেবে বোর্ড পুরনো অবস্থানে থাকলে মানে রিয়াদকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দিতে চাইলে আর বোর্ড প্রধানের মুখে চিন্তা করে দেখার কথা শোনা যেত না। বিকল্প ভাবনা আছে বলেই হয়ক বোর্ড সভাপতি অমন কথা বলেছেন।

টেস্ট ক্যাপ্টেন নিয়ে নতুন চিন্তা-ভাবনা থাকলেও বোর্ড সভাপতির কথায় পরিষ্কার দল নিয়ে তাদের খুব বড় রদবদলের পরিকল্পনা নেই। তাই বিসিবি বিগবস জানিয়ে দিয়েছেন খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়ে কোনো নতুন ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ‘আর সিলেকশনের ব্যাপারটা বলি, কিছু প্লেয়ার আছে, তারা পুরনো, তারা ইনজুরি প্রোন। তবে মুশফিক বেশ ফিট। আমি ওর সাথে কথা বলেছি, ও প্রায় ঠিক। কিছু প্লেয়ার চোটপ্রবণ। সবচেয়ে বেশি ছিল মাশরাফি, আল্লাহর রহমতে এখন ভালো আছে। মুস্তাফিজও আছে, এ জন্য ওকে সাবধানে রাখতে চাচ্ছি। বাইরে খেলাটাও উৎসাহিত করছি না ওর।’

আগামী দুই সিরিজে তরুণদের সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে পাপনের জবাব, ‘তামিম-সাকিবের জায়গায় নতুন কাউকে তো খেলাতেই হবে। এক্সপেরিমেন্ট যা করার দরকার এই সময়েই করা হোক। বিশ্বকাপের পর আমাদের এশিয়া কাপ, এই দুই জায়গায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নাই। স্বাভাবিকভাবেই এখানে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে।’

আরিফুলকে এশিয়া কাপে একটি ম্যাচও খেলানো হয়নি। তারপরও তাকে নিয়ে শুধু শুধু বসিয়ে রাখার কারণ কী? পাপন একটা নাতিদীর্ঘ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যার সারমর্ম হলো, ‘দলে একটা বোলিং অলরাউন্ডার দরকার, তাই আরিফুলকে নেয়া। মাঝে সাইফউদ্দীনকে ট্রাই করা হয়েছে। সে ওই জায়গার জন্য আদর্শ ক্রিকেটার আমাদের জন্য। কিন্তু তার উন্নতির বদলে অবনতি ঘটেছে। বোলিংটা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। কিন্তু ওর বোলিং নাকি খুবই খারাপ হয়ে গেছে, ওর খোঁজ-খবর নিলেই শুনি সে বল করা ভুলে গেছে। এখন বল করা ভুলে গেলে কীভাবে হবে, আমার তো বোলিং অলরাউন্ডার দরকার। সে নাকি বল ফেলতেই পারে না জায়গা মতো।’

এদিকে সাব্বির দলের বাইরে যাওয়া লেট মিডল অর্ডার মানে সাত নম্বর পজিশনটাও হয়েছে শূন্য। তা নিয়ে কথা বলতে বলা হলে বিসিবি প্রধানের ব্যাখ্যা, ‘এই পজিশনে আমরা অনেক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছি। সাব্বিরকে চেষ্টা করেছি। আরিফুল আছে, সৌম্যকে নিয়ে এখন নতুন করে ভাবা হচ্ছে।’

এআরবি/এসএএস/বিএ

আরও পড়ুন