সপ্তাহখানেকের মধ্যেই চাঙা হয়ে ফিরছেন সাকিব
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ইনজুরির ব্যাপারে চিন্তিত পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। বাঁহাতের কনিষ্ঠার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাকিব বর্তমানে অবস্থান করছেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়।
সেখান তার সাথে অন্য কেউ না থাকায় হালনাগাদ তথ্য পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবু দেশে থাকা তার মেন্টর, কোচ এবং শিক্ষাগুরু সালাউদ্দীন আহমেদের সাথে নিয়মিতই কথা বলছেন সাকিব। জানাচ্ছেন সবশেষ অবস্থা। জাগোনিউজও তাই দ্বারস্থ হয়েছে সালাউদ্দীনের কাছে।,
তিনি জানিয়েছেন বেশ আশাব্যঞ্জক তথ্য। তার মতে সাকিব আল হাসানের মাঠে ফিরতে তিন মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। জানিয়েছেন আগামী রোববার বা সোমবার চাঙা হয়েই দেশে ফিরবেন সাকিব। প্রাথমিকভাবে শুক্রবারের টিকিট করা ছিলো সাকিবের। তবে ডাক্তারের পরামর্শে বাতিল করা হয়েছে সে টিকিট। এখন টিকিট প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে আগামী রোববার বা সোমবার ফিরবেন সাকিব। যার মানে দাঁড়ায় এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ দেশে থাকবেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় মুঠোফোন আলাপে সাকিবের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সালাউদ্দীন বলেন, ‘মেলবোর্নে সাকিবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে যিনি আছেন তিনি আমার আপন বোনের স্বামী। আমার বোনও একজন ডাক্তার। আজকেও সাকিবের সাথে কথা হয়েছে। সে ক্রমেই ভালোর দিকে এগুচ্ছে। তার ইনফেকশন শুকাতে শুরু করেছে। ইনফেকশনের ঘা শুকিয়ে এখন নতুন চামড়া উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে ছুটি দেয়ার কথা ছিলো। তবে ডাক্তাররা তাকে তিন দিন বেশি থেকে যেতে বলেছে।’
তবে এই বাড়তি তিন দিন থাকাটা কোনো টেনশনের কারণ নয় বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই তিনদিন থেকে যাওয়ার মানে এই নয় যে তার উন্নতি হয়নি। তার যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে। মূলত ডাক্তারের ইচ্ছাতেই সাকিবের থেকে যাওয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে সাকিব সোমবার দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ডাক্তাররা তাকে বলেছেন তিন মাস পর তার পক্ষে খেলা সম্ভব হবে। যদিও সাকিব আড়াই মাস বা দু মাস পরে মাঠে নামতে পারবেন কি-না সে প্রশ্ন করেছিল কিন্তু ডাক্তাররা সরাসরি তিন মাস মাঠের বাইরে থাকার পরামর্শই দিয়েছেন। ডাক্তারদের প্রত্যাশা তার অপারেশন নাও লাগতে পারে।’
এসময় সাকিবের আসন্ন বিশ্বকাপে অংশ নেয়া নিয়ে যে উৎকণ্ঠা বা সংশয় দেখা দিয়েছে সবার মনে, সেটি সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন সাকিবের গুরু।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আমার কাছে কখনোই এরকম কোনো সংশয় প্রকাশ করেনি বা ডাক্তাররাও এমন কোনো কথা বলেনি, যা থেকে বিশ্বকাপে না খেলার মতো সংশয়ের সৃষ্টি হয়। আমার সাকিবের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে সাকিব এখন যথেষ্ঠ উজ্জীবিত এবং আশাবাদী সে তিন মাস পরেই ক্রিকেটে ফিরতে পারবে। কাজেই সে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না বা বিশ্বকাপ খেলার মতো অবস্থায় থাকবে না এমন নেতিবাচক চিন্তার কোনো ভিত্তি নেই। ডাক্তাররা কখনোই এমন কোনো তথ্য দেননি।’
এআরবি/এসএএস/আরআইপি