তিন মাসের মধ্যেই ফিরবেন সাকিব, বিশ্বাস পাপনের
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভক্ত-সমর্থকের উৎসাহ-আগ্রহের যেমন শেষ নেই, তেমনি নানা গুজব, গুঞ্জন আর প্রোপাগান্ডাও কিন্তু কম নয়। এই যেমন সাকিবের ইনজুরি নিয়েও রাজ্যের গুঞ্জন। তার বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের ইনজুরি হেলা ফেলার মত বিষয় নয়- বেশ বড় সড় কিছু। বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় মাখা সংলাপে ভরে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
আসলে সাকিবের কি অবস্থা, তা সাকিব নিজ মুখে বলেছেন, তার মেন্টর, কোচ এবং শিক্ষাগুরু সালাউদ্দীনও জানিয়েছেন। তাদের কারো কথায় এমন গুরুতর সংশয়-সন্দেহের কিছু ছিল না। সাকিব নিজ মুখে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে মুঠোফোনে এমন কোন কথা বলেননি, যা শুনে মনে হয়, তিনি আগামী ছয়মাসেও ভাল হবেন না কিংবা তার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংশয় আছে।
সাকিবের উদ্ধৃতি দিয়ে কোচ সলাউদ্দীনও বলেছেন, ‘সাকিবের অপারেশন এখন লাগবে না। আড়াই থেকে তিন মাস পর সে হয়ত খেলতে পারবে। তারপরও যদি সমস্যা হয়, মানে ব্যাথা লাগে তখন সার্জারি করাতে হবে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সাকিব মাঠে ফিরতে পারবে। তখন ব্যাথা অনুভূত হলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি যদি অপারেশন হয় তা থেকে তার সম্পূর্ণ সুস্থ্ হয়ে যদি তিনমাসও লাগে, তারপরও মার্চের মধ্যে সাকিব সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু তারপরও অতি উৎসাহী কেউ কেউ সাকিবের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে চিন্তায় ।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য ঐ নেতিবাচক চিন্তার দলে নেই। তিনি বেশ আশাবাদী মানুষ। সাকিবের সাথে তারও কথা হয়েছে। বিসিবি বিগ বসের আস্থা ও বিশ্বাস, সাকিব তিন মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরবেন।
সাকিবের ইনজুরি, চিকিৎসা এবং ভবিষ্যত নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে পাপন বলেন, ‘এখন ইনফেকশন ঔষধ দিলে ভালো হয়ে যায়। অপারেশন আর লাগবে না সেটা আমার ধারণা। ও নিজের সন্তুষ্টির জন্য অপারেশন করাতে চাইলে সমস্যা নাই। বাইরে ডাক্তার যদি বলে, ও ভালো আছে, ও খেলতে পারবে। নিদাহাস ট্রফির পর ব্যাংকক, অস্ট্রেলিয়ায় গেল, ওর পছন্দমতো। এরপর আইপিএলের জন্য যখন পাসপোর্ট জমা দিল, তখনই বলতে পারল খেলতে পারবে।’
‘যদি সব ঠিক থাকে, অপারেশন লাগবে না । ব্যথা থাকলেও জোর করে খেলাব এই প্রশ্নই আসে না। সাকিব ভালো হয়ে যাবে, খুব ভালোভাবে উন্নতি করছে। আমরা আরও চেষ্টা করছি, এক্স্যাক্টলি কী কারণে এমন হলো তা জানার। আমার ধারণা, দুই তিন মাস তো লাগবেই। আমার জানা মতে, কোনো ইনফেকশন এতোদিন লাগার কথা না। আমি তো ডাক্তার না, ডাক্তারের রিপোর্ট দেওয়ার পর বাকিটা বলতে পারব। এখন রিপোর্ট দেখতে হবে। আমরা নিজেরা বলে তো লাভ নেই।’
এআরবি/এসএএস/এমএস