‘বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দলে খেলার যোগ্য নয়’
গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই টাইগারদের প্রবল দাপটের মুখে টিকতে পারেনি অজিরা। হেরে গিয়েছিল ২০ রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশের এ জয় তখন সাড়া ফেলে দেয় বিশ্ব ক্রিকেটে, সবার প্রশংসায় ভাসতে থাকেন সাকিব, তামিম, মুশফিকরা।
কিন্তু যাদের হারিয়ে এ সাফল্য রচনা করেছিলেন সাকিবরা, সেই অস্ট্রেলিয়াই প্রাপ্য সম্মান দিতে রাজি নয়। সম্মান দেয়নি তখনো। বরং দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে সিরিজে সমতা আনার দম্ভই ছিলো তাদের সাথে। সে সিরিজে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টিম পারফর্ম্যান্স প্রধান প্যাট হাওয়ার্ড সিরিজের রিপোর্ট লিখতে গিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে মেইলে এমন কিছু লেখেন যা কিনা অপমানকর ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য।
গেইডন হেইগের ‘ক্রসিং দা লাইন’ বই থেকে জানা গিয়েছে সে মেইলের ব্যাপারে। বইটি আগামী মাসে প্রকাশিত হবে। হেইগ এর আগেও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসের উপর একটি বই লিখেছিলেন,এবং সে সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক পর্ষদের মানসিকতার অধঃপতন, উন্নাসিকতা এবং আক্রমণাত্মক প্রবণতার সব বর্ননা দেয়া রয়েছে বইটিতে।
প্রকাশিতব্য বইটিতে হেইগ উল্লেখ করেন হাওয়ার্ডের লেখা মেইলের কথা। যেখানে হাওয়ার্ড তার ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দলের হয়ে খেলার যোগ্যতাও নেই।
তিনি লিখেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত লজ্জিত এবং সমস্ত সমালোচনা মাথা পেতে নিতে রাজি আছি। আপনারা জানেন,এই ফলাফল কতটা লজ্জাজনক। একইসাথে এটাও সত্য, যাদের কাছে আমরা আজ হেরেছি, তারা হয়তো আমাদের রাজ্য দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতাটুকুও রাখে না।’
নিজ দলের ও বোর্ডের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো লিখেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করে শুধু ভালো একটা জাতীয় দল গড়ার জন্য। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না। আপনি ব্যর্থ, আমি ব্যর্থ, আমরা সবাই ব্যর্থ।’
এসএএস/এমএস