৬ সেঞ্চুরির ম্যাচটাও ড্র হলো
একের পর এক সেঞ্চুরি হচ্ছে। সৌম্য সরকার ভাবলেন, আমিই বা বাদ যাই কেন? যেই ভাবা সেই কাজ। এনসিএলের প্রথম স্তরের প্রথম রাউন্ডে খুলনা-রাজশাহী ম্যাচের শেষ দিন শেষ দিকে এসে সেঞ্চুরিটা করে বসলেন সৌম্য সরকারও। জাতীয় দলের হয়ে ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থতার পর এই সেঞ্চুরি নিশ্চয় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে সৌম্য সরকারকে।
রাজশাহীর শহীদ কামরুহজ্জামান স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি করতে গিয়ে রীতিমত ছক্কা উৎসবে মেতে উঠেছিলেন সৌম্য। ৭টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। বাউন্ডারি মেরেছেন ৮টি। ৭৪ রানই এসেছে তার বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি থেকে।
জাতীয় লিগের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সেঞ্চুরিই হয়েছে ৬টি। যার মধ্যে খুলনার ব্যাটসম্যানরা এক ইনিংসে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি। রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি এসেছে ২টি।
খুলনার ব্যাটসম্যানরা প্রথম ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ৩টি। এর মধ্যে আবার উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন তুষার ইমরান।
প্রথম ইনিংসে খুলনার হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তুষার ইমরান আউট হন ১০৪ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৫৯ রান। এছাড়া এনামুল হক বিজয় এবং সৌম্য সরকার করেন সেঞ্চুরি। রাজশাহীর হয়ে সেঞ্চুরি আসে মিজানুর রহমান এবং জহিরুল ইসলাম অমির ব্যাট থেকে।
প্রথম ইনিংসে খুলনা ২১০ রানে অলআউট হলে জবাব দিতে নেমে রাজশাহী করে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ৫৫২ রান। ৩৪২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে তিন সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৬৭ রান করে খুলনা। এরই মধ্যে নির্ধারিত ৪ দিন শেষ হয়ে গেলে, ম্যাচও শেষ হয় অমিমাংসিতভাবে।
আইএইচএস/এমএস