‘এশিয়া কাপের শিরোপাটা এবার উঠুক মাশরাফির হাতে’
পাকিস্তানের বিপক্ষে শোয়েব মালিকের অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরার পর মাশরাফির বল হাতে দাঁড়িয়ে যে ভঙ্গি করেছিলেন, সেটাই এখন ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশের অকুতোভয়, অপ্রতিরোধ্য মানসিকতার প্রতিরূপ হিসেবে সবাই দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন মাশরাফির এই দৃঢ় মনোবলের ছবিটাকে।
প্রশংসার বন্যায়ও ভাসছেন মাশরাফি। হাঁটুর ইনজুরি, শরীরটা ঠিকমতো চলে না। এমন অবস্থায় জানবাজি রেখে দেশের জন্য কয়জন খেলে? মাশরাফি খেলে যাচ্ছেন। এমনকি হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েও তিনি খেলতে নেমেছেন এবং বোলিং করেছেন। শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৭ রানের জয়ে বাংলাদেশকে তুলে দিলেন ফাইনালে। শুক্রবার দুবাইতে এশিয়া কাপের আরও একটি ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
এমন লড়াকু মানসিকতা নিয়ে যিনি দিনের পর দিন বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার হাতে এবার একটি ট্রফি দেখতে চান দর্শক-সমর্থকরা। তারা চান মাশরাফির হাতটা এবার ভরিয়ে দিক এশিয়া কাপ। বরং, তাতে এশিয়া কাপই গৌরবে গৌরবান্বিত হবে।
মাশরাফির সেই ছবিটি টুইটারে পোস্ট করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সেখানে লেখা হয়েছে, মাশরাফি বিন মর্তুজার এই ক্যাচটা কেমন? জবাবে রিটুইট হয়েছে অনেক ভক্ত-সমর্থক।
নাসির আব্বাস নামে পাকিস্তান এক সমর্থক সেখানে লেখেন, ‘এটা তো সাধারণ কোনো ক্যাচ ছিল না। এই ক্যাচ ধরে তো মাশরাফি আমাদের কাছ থেকে ম্যাচটাই কেড়ে নিলেন।’
টিপস অ্যান্ড ট্রিকস নামে এক টুইটার ব্যবকারী লিখেছেন, ‘এই হাতটি এখন অন্তত একটি এশিয়া কাপের শিরোপা দাবি করে। মাশরাফির অবসরের আগে এই হাতে একটি এশিয়া কাপের শিরোপা উঠুক।’
তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘মাশরাফির মতো দেশপ্রেম যদি সবার মধ্যে থাকে, তাহলে এই দেশটির ভয় পাওয়ার কোনো কারণই নেই। আমরা জিততেই থাকবো এবং জিতেছিও। মাশরাফি বাংলাদেশকে অনেক দূর টেনে এনেছেন এবং আরও অনেক দূর নিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট এই দিনটা কখনোই হয়তো ভুলতে পারবে না। অনেক অনেক ভালোবাসা মাশরাফির জন্য।’
মুজাম্মিল মুঘল নামে একজন (সম্ভবত পাকিস্তানি) লিখেছেন, ‘তিনি (মাশরাফি) হচ্ছেন এমন একজন নেতা, যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। আর আমাদের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ তার মতো কখনও হতে পারেননি, পারবেনও না। তিনি শুধু দলে থাকাই নয়, দলকে নেতৃত্ব দেয়ারও যথেষ্ট যোগ্য দাবিদার।’
এশিয়া কাপে এ নিয়ে তিনবার ফাইনালে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। আগের দু’বারের মধ্যে একবার করে প্রতিপক্ষ ছিল ভারত এবং পাকিস্তান। ২০১২ সালে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তানের কাছে। ২০১৬ সালে ভারতের কাছে হেরেছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
এবার আবারও ফাইনালে বাংলাদেশ। এবার কি এশিয়া কাপ বাংলাদেশকে হতাশ করবে? এবার কি এশিয়া কাপ আবারও মাশরাফিকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবে? নাকি ট্রফিটা মাশিরাফির হাতে তুলে দিয়ে নিজেই ধন্য হবে এশিয়া কাপ ক্রিকেট? অপেক্ষায় বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ।
আইএইচএস/বিএ