ভাগ্য ভালো মালিকের ক্যাচটি ফেলিনি : মাশরাফি
মাঠে তিনি সতীর্থদের বড় অনুপ্রেরণা। মাশরাফি বিন মর্তুজার পরিচয় আলাদা করে দেয়ার আসলে কিছু নেই। তিনি মাঠে থাকা মানেই ২২ জনের একাদশ বাংলাদেশের। দলের প্রয়োজনে কখনও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠছেন, কখনও বল হাতে ভেঙে দিচ্ছেন সেট ব্যাটসম্যানের উইকেট, কখনও বা হাত পায়ের মায়া ত্যাগ করে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন ক্যাচ নিতে।
মাশরাফি মাঠে থাকলে কোনো না কোনোভাবে দলকে উজ্জীবিত রাখবেনই। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের অঘোষিত ফাইনালে শোয়েব মালিককে ফিরিয়ে দেয়া ক্যাচটিই দেখুন না। মাশরাফির আঙুল চেড়া ওই ক্যাচটিই ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচ। তৃতীয় উইকেটে ইমাম উল হককে নিয়ে ৬৪ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়া মালিককে হারানোর পরই পথ হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না পাকিস্তানের, ২৪০ রানের। আধুনিক ক্রিকেটে যে লক্ষ্য হেসেখেলেই পারি দেয় দলগুলো। তবে এদিন বাংলাদেশ কিছু নিয়ে ফেরার প্রত্যয়েই যেন মাঠে নেমেছিল। ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাটিংয়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে টিম বাংলাদেশকেই দেখা গেছে এই ম্যাচে।
মাশরাফি আলাদা করে বললেন ফিল্ডিংয়ের কথা। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার অধিনায়কের মূল্যায়ন, 'বোলাররা দারুণ করেছে। মুশি দারুণ ব্যাটিং করেছে, মিথুনও। দিনশেষে বোলাররা ছিল দুর্দান্ত। আজ (বুধবার) দলের ফিল্ডিং নিয়ে আমরা গর্বিত। দীর্ঘদিন এমন কোয়ালিটি ফিল্ডিং দেখিনি। আশা করছি, আমরা এই ফিল্ডিংটা ধরে রাখতে পারব।'
মাশরাফি আরও যোগ করেন, 'আমাদের ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে, বোলিংয়েরও কয়েকটা জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। আমি ভাগ্যবান যে ওই ক্যাচটা ড্রপ করিনি (শোয়েব মালিকের)। তিনি দারুণ ফর্মে আছেন। যদি আউট না হতেন, তবে দলকে বহুদূর নিয়ে যেতেন।'
এমএমআর/আরআইপি