হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েও মাঠে নামলেন মাশরাফি
নিজেকে রীতিমতো উজাড় করে দেয়ার এক দারুণ উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। কি তামিম, কি মুশফিক, সাকিব কিংবা মাশরাফি- এক একটা জ্বলন্ত উদাহরণ। ইনজুরি নিয়ে, তুমুল ঝুঁকি নিয়েও তারা মাঠে নামছেন।
আঙুলের ইনজুরি নিয়ে, অস্ত্রোপচার না করেই এশিয়া কাপে খেলতে চলে এলেন সাকিব। ইনজুরি নিয়ে এসেছেন তামিম ইকবালও। এসে পড়েছেন আরও বড় ইনজুরিতে। পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে মুশফিকের। তবুও দিব্যি খেলে যাচ্ছেন এবং এ মুহূর্তে দলের সেরা ব্যাটসম্যান তিনি।
ইনজুরির কারণে ইতোমধ্যেই ছিটকে গেছেন সাকিব এবং তামিম। ইনজুরি নিয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহীম। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে আঙুলে ব্যথা পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২১তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন শোয়েব মালিক। কিন্তু সেখানে দাঁড়ানো ছিলেন মাশরাফি। অসম্ভব এক ক্যাচ ধরে শোয়েবের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
রুবেলের বলে খেলা শোয়েব মালিকের শটটা মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল। খানিটা পেছনদিকে লাফ দিয়ে মাথার পেছনে হাত বাড়িয়ে দুরুহ কোণ থেকে ক্যাচটা তালুবন্দী করলেন তিনি। প্রথমত বলটা ছিল মাশরাফির উইক জোনে অর্থাৎ, বাম পাশে। অথচ কী অসাধারণ এক ক্যাচ। ম্যাচের টার্নিং বলা যায় একে।
তবে শোযেব মালিকের ক্যাচটা ধরতে গিয়ে আঙুলে ব্যথাও পান মাশরাফি। ডান হাতের কনিষ্টা আঙুলের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মাশরাফি। ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পর তার হাতের আহত আঙুলে ব্যান্ডেজ বেধে দেন চিকৎসক। পরে দেখা গেল ৩ ওভার পরই আবার মাঠে ফিরে এসেছেন মাশরাফি। হাতের আঙুলে ব্যান্ডেজ বাঁধা।
সেনাপতি মাঠে না থাকলে যে প্রভাব পড়ে, মাঠে থাকলে প্রভাবটা তার চেয়েও বেশি পড়ে। সতীর্থরা উজ্জীবিত হয়। যেখানে ইনজুরি নিয়েই অধিনায়ক নিজে মাঠে, সেখানে দলের অন্যরা তো আরও নিবেদিত প্রাণ হবেন, এটাই স্বাভাবিক। মাশরাফি সেই ফর্মুলাই বাস্তবায়ন করছেন মাঠে।
আইএইচএস/বিএ