পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত খেলার : মাহমুদউল্লাহ
শুরুর বিপর্যয় সামলে তৃতীয় উইকেটে বেশ ভালোভাবেই এগুচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাশ। দুজন মিলে ৭৯ বলে গড়ে ফেলেছিলেন ৬৩ রানের জুটি। এরপরই হুট করে তিন ওভারের ছোট্ট ঝড়। ২ উইকেটে ৮১ থেকে ক্ষণিকের ঝড়ে ৫ উইকেটে ৮৭ রানের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ।
রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের বোলিং দাপটে তখন আবারও অল্পে অলআউট হওয়ার শঙ্কা। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ইতিহাস গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল। ধীরে-সুস্থে খেলে দুজন মিলে উইকেটে কাটিয়ে দেন প্রায় ২৫ ওভার। স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১২৮ রান।
যা কিনা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুলের জুটিতে কখনোই মনে হয়নি তাদের আউট করা সম্ভব, বোলারদের ন্যুনতম সুযোগ না দিয়েই ধীরে-সুস্থে এগিয়ে নেন নিজেদের জুটি। প্রায় এগারো মাস ওয়ানডে খেলতে নেমে ইমরুলও দেন দারুণ দায়িত্বশীলতার পরিচয়।
রানরেটের দিকে না তাকিয়ে দুজন মিলে যতটা সম্ভব বেশিক্ষণ ব্যাটিং করার দিকেই মনোযোগী। যার ফলশ্রুতিতে হয়ে যায় ১২৮ রানের জুটি। বাংলাদেশ পেয়ে যায় ২৪৯ রানের লড়াকু। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন উইকেটে থাকাকালীন একদম শেষপর্যন্ত খেলার পরিকল্পনাই করেছিলেন দুজন।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচসেরার পুরষ্কার গ্রহণ করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আবহাওয়া প্রচন্ড গরম ছিল এবং উইকেটে থাকাকালীন মনে হচ্ছিল কেউ ভেতরের সকল পানি শুষে নিচ্ছে। তবে শেষপর্যন্ত আমরা ভালো করেছি, জয়ের পুরো কৃতিত্ব মোস্তাফিজের। আমরা জানতাম যে তাদের অনেক বিগ হিটার আছে এবং স্নায়ু চাপ দারুণভাবে সামাল দিতে পারে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরাই জয়ীর কাতারে।’
‘দলের জন্য অবদান রাখতে পারাটা সবসময়ই আনন্দের। আমি ও ইমরুল দারুণ ভালো জুটি গড়েছি। আমরা চেষ্টা করছিলাম একদম শেষপর্যন্ত খেলার। তবে শেষে এই জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরি বোলারদের, তারা দারুণভাবে এটি ডিফেন্ড করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’
বলাই বাহুল্য, ব্যাট হাতে ৭৪ রানের মহা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা মাহমুদুল্লাহ অবদান রেখেছেন বল হাতেও। আফগান ইনিংসের ২৫তম ওভারে আক্রমণে এসে চতুর্থ বলেই ফিরিয়ে দেন ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদকে। পাঁচ ওভার বোলিং করে খরচ করেন মাত্র ১৭ রান।
এসএএস/জেআইএম