মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে নিরাপদ সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ
টুর্নামেন্টের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে করেছিলেন ৫৩ রান, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিলো মাত্র ২৭ রানের। দলের 'বিপদের বন্ধু' খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে একটি দায়িত্বশীল ইনিংস পাওনা ছিলো দল।
সেই ইনিংসটি তিনি খেললেন দলের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে হলে হারাতেই হবে আফগানিস্তানকে, নতুবা হেরে গেলে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে খেলতে নামা ম্যাচেই ক্যারিয়ারের বিশতম ফিফটি হাঁকালেন মাহমুদউল্লাহ।
দলের বিপর্যয়ের মুখে, মাত্র ৮৭ রানেই পঞ্চম উইকেট পতনের পরে উইকেটে এসেছিলেন তিনি। চাপ কাটিয়ে মাত্র ৫৯ বলেই তিন চারের মারে ক্যারিয়ারের বিশতম হাফসেঞ্চুরিটি করেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন ইমরুল কায়েস।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৮ রান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ইতোমধ্যে ৯১ রান যোগ করেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল। নিজের অর্ধশত থেকে ৯ রান দূরে রয়েছেন ইমরুল, মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ ৫৩ রান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আগের তিন ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায় রেখে এ ম্যাচে ধীরে সুস্থে শুরু করেন লিটন ও শান্ত। কিন্তু বেশিক্ষণ ধৈর্য্য ধরতে রাখতে পারেননি শান্ত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে আফতাব আলমের বোলিংয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রহমত শাহ'র হাতে। ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে।
পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও। মুজিব উর রহমানের ভেতরে ঢোকা বলে বেশ দেরি করে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র এক রান।
আগের তিন ম্যাচেই ব্যর্থতার বৃত্তে আবদ্ধ থাকা লিটন এ ম্যাচে শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। উইকেটের চার পাশে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মাত্র ৪২ বলে ৪১ রান করে ফেলেছিলেন লিটন। রশিদ খান প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসতেই ওভারের তৃতীয় বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন চার মারেন তিনি।
লোভ সামলাতে না পেরে পরের বলে খেলতে যান সুইপ শট। কিন্তু টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন এহসানউল্লাহ জান্নাতের হাতে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ৪১ রানের সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এক বল পড়েই মুশফিকের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয় সাকিবের। সরাসরি থ্রোতে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
এক ওভার পরে আবার আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এবার ভুল বোঝাবুঝির স্বীকার হন মুশফিকুর রহিম। ইমরুল কায়েসের ডাকে উইকেটের প্রায় মাঝপথে চলে যান মুশফিক। কিন্তু ইমরুল তাকে ফিরিয়ে দিলে আর ফিরতে পারেননি নিজের ক্রিজে। ফিরে যান ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায়।
এসএএস/আরআইপি