ঘুরে দাঁড়িয়েও বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
ইনিংসের উনিশতম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে আসেন রশিদ খান, সাথে করে যেন নিয়ে আসলেন বাংলাদেশ দলের পতনের বার্তা। ওভারের চতুর্থ বলে ফেরান ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা লিটন কুমার দাশকে, শেষ বলে রানআউট হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার পরের ওভারে আবারও রানআউটের ফাঁদে ধরা পড়েন মুশফিক।
শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা বাংলাদেশ আবারও পড়ে গিয়েছে চাপে। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে স্বস্তি এনেছিলেন লিটন কুমার দাশ ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিন ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে আবারও বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২২ ওভারে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮৯ রান।
আগের তিন ম্যাচেই ব্যর্থতার বৃত্তে আবদ্ধ থাকা লিটন এ ম্যাচে শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। উইকেটের চার পাশে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মাত্র ৪২ বলে ৪১ রান করে ফেলেছিলেন লিটন। রশিদ খান প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসতেই ওভারের তৃতীয় বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন চার মারেন তিনি।
লোভ সামলাতে না পেরে পরের বলে খেলতে যান সুইপ শট। কিন্তু টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন এহসানউল্লাহ জান্নাতের হাতে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ৪১ রানের সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এক বল পড়েই মুশফিকের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয় সাকিবের। সরাসরি থ্রোতে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
এক ওভার পরে আবার আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এবার ভুল বোঝাবুঝির স্বীকার হন মুশফিকুর রহিম। ইমরুল কায়েসের ডাকে উইকেটের প্রায় মাঝপথে চলে যান মুশফিক। কিন্তু ইমরুল তাকে ফিরিয়ে দিলে আর ফিরতে পারেননি নিজের ক্রিজে। ফিরে যান ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আগের তিন ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায় রেখে এ ম্যাচে ধীরে সুস্থে শুরু করেন লিটন ও শান্ত। কিন্তু বেশিক্ষণ ধৈর্য্য ধরতে রাখতে পারেননি শান্ত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে আফতাব আলমের বোলিংয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রহমত শাহ'র হাতে। ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে।
পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও। মুজিব উর রহমানের ভেতরে ঢোকা বলে বেশ দেরি করে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র এক রান।
এসএএস/জেআইএম