অধিনায়কের কাঠগড়ায় ব্যাটসম্যানরা
চলতি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিংয়ের সমার্থক হয়ে গেছে ‘বিপর্যয়’ শব্দটি। টুর্নামেন্টের একদম শুরুর ম্যাচ থেকে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ পর্যন্ত পিছু ছাড়েনি ব্যাটিং বিপর্যয়। বোলাররা নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও ব্যাটসম্যানরা পারছেন না যথাযথ ব্যাটিং উপহার দিতে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বীরোচিত ১৪৪ ও মোহাম্মদ মিঠুনের দায়িত্বশীল ৬১ রানের কল্যাণেই হয়েছিল মুখরক্ষা। পরের ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে হতশ্রী অবস্থা, অলআউট ১১৯ রানে। ভারতের বিপক্ষেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।
স্বীকৃত সাত ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন মাত্র ১০১ রানেই। অষ্টম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা মিলে কোনমতে পার করার দেড়শ রান, দল থামে ১৭৩ রানে। যা কিনা ভারতীয়রা টপকে গেছে খুব সহজেই। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে, ৮২ বল হাতে রেখে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠেও শোনা গেল ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আশানুরূপ রান না পাওয়ার হতাশা। মাশরাফির মতে ওয়ানডে ম্যাচে ১৭৩ রান ডিফেন্ড করা সহজ কাজ নয়। তাই আগের ম্যাচের মতো ভারতের বিপক্ষে হারের দায়টাও নিতে হবে টাইগার ব্যাটসম্যানদেরকেই।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘আপনি আমাদের ব্যাটিংয়ের দিকে তাকালে দেখবেন একদম শুরু থেকেই আমরা উইকেট হারাতে শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও একই চিত্র ছিল, তবে সেদিন এক জুটিতেই ম্যাচ ঘুরে গিয়েছিল। আপনাকে নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই নিজেকে আগলে রাখতে হবে।’
‘উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য খারাপ ছিল না। আমরা খুব সহজেই ২৫০-২৬০ রান করতে পারতাম, কিন্তু তার বদলে আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। হয়তো ম্যাচের পরের সময়ে ব্যাটিং করা সহজ হয়েছে, তবে ২৬০-২৭০ রান করতে পারলে ম্যাচটা আমাদের পক্ষেও আসতে পারতো। আপনি ১৭০ রান করে অবশ্যই আশা করতে পারেন না যে বোলাররা আপনাকে জিতিয়ে দেবে। ব্যাটসম্যানদের অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে।’
এসএএস/এমএস