তামিম-মুশফিক নেই : জিতবে তো বাংলাদেশ!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই জানা গিয়েছিল পুরো এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন তামিম ইকবাল। সেই ম্যাচে পাঁজরের ব্যথা নিয়েও খেলেছিলেন মুশফিকুর রহীম। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় তাকে।
কিন্তু এ দুই ক্রিকেটারকে ছাড়া খেলতে নামলেই যে হারে বাংলাদেশ! আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় তামিম ও মুশফিকের অভাব অনুভব করতে বাধ্য হবে টাইগাররা। ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান। ডেথ বোলিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে মাশরাফি, রুবেল, রনিরা।
সে আলাপ পাশে রেখে মন দিতে হবে ২৫৬ রান করার দিকে; কিন্তু তামিম-মুশফিকের পরিসংখ্যান মনে করালে রান তাড়ার শুরুতেই পিছিয়ে যেতে হবে টাইগারদের। কেননা গত আড়াই-তিন বছরে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের পুরোটাই আবর্তিত হয়েছে তামিম এবং মুশফিককে ঘিরে।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে আফগান ম্যাচের আগ পর্যন্দ ৪৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচ পরিত্যক্ত তথা ব্যাট করার সুযোগ পায়নি মাশরাফির দল। বাকি ৪৩ ম্যাচে বাংলাদেশের মোট রান ১০২৪৯, অতিরিক্ত এসেছে ৬৩৪। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে এসেছে বাকি ৯৬১৫ রান।
সেখানে বিশ্বকাপের পর থেকে তামিম ও মুশফিক খেলেছেন ৪২টি করে ম্যাচ। এই ম্যাচগুলোয় তাদের রান যথাক্রমে। ২১৮২ ও ১৫২১। দু’জনের সম্মিলিত রান ৩৭০৩, যা কিনা দলের মোট সংগ্রহের প্রায় ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বকাপের পর থেকে দলের মোট রানের প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি রান করেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
একসাথে এই দুইজনকে না পাওয়া বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি। যা পুষিয়ে দিতে হবে তরুণ লিটন দাশ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনদের। চলতি এশিয়া কাপের পরিসংখ্যানও কথা বলছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এখনো পর্যন্ত হওয়া পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে দলগুলো।
পাকিস্তান ও ভারত যথাক্তমে ১১৬ ও ১৫৮ রানের জবাবে তাড়া করে জেতার নজির দেখিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ দলের সামনে লক্ষ্য ২৫৬। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ৯১ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছিল আফগানিস্তান, যা কিনা বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার কারণ।
শেষের আগে জানিয়ে রাখা যাক, তামিমকে ছাড়া খেলা সবশেষ ১২ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। মুশফিককে ছাড়া খেলা সবশেষ ৯ ম্যাচে জিততে পারেনি টাইগাররা।
এসএএস/আইএইচএস/পিআর