সাড়ে তিন বছর পর রঙ্গিন পোশাকে ফিরলেন মুমিনুল
একের পর এক উপেক্ষার শিকার হতে হতে মুমিনুল হক আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের রঙ্গিন পোশাক সম্ভবত আর তার জন্য নয়। তিনি উপাধি পেয়ে গেছেন টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে। শুধু তাই নয়, গত বছর তো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মুমিনুল হককে টেস্ট দল থেকেও বাদ দিয়ে ফেলেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তুমুল সমালোচনার মুখে তাকে দলে নিতে বাধ্য হন।
হাথুরুসিংহে চলে গেছেন গত বছর ডিসেম্বরেই। এরপর মুমিনুল নিজেকে নানাভাবে প্রমাণ করে যাচ্ছিলেন, তবুও সুনজর মিলছিল না নির্বাচকদের। এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে রাখা হলেও মুমিনুলকে কিন্তু বাদ দেয়া হয়েছিল শুরুতে ঘোষিত ১৫ জনের দল থেকেও। অথচ, তার আগে আয়ারল্যান্ডে গিয়ে ‘এ’ দলের হয়ে ১৮২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত মুমিনুলের কপাল খোলে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবালের ইনজুরির কারণে। ১৬তম সদস্য হিসেবে তাকে নেয়া হয় আরব আমিরাতে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুমিনুলকে একাদশে নেয়ার প্রশ্নই ছিল না। তবে, দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ইনজুরিই সুযোগ করে দিরো মুমিনুলকে। মুশফিকের ইনজুরির কারণে, তাকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্রাম দেয়া হয়। পরিবর্তে দলে নেয়া হয় মুমিনুল হক সৌরভকে।
সে সঙ্গে অবসান ঘটে মুমিনুলের সাড়ে তিন বছরের অপেক্ষার। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন মুমিনুল। ওই ম্যাচে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার কারণে তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাকে বাদ দিয়ে দেন।
২৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৪ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পান তিনি। ২৩.৬০ গড়ে রান করেন ৫৪৩। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬০ রানের। হাফ সেঞ্চুরি কেবল ৩টি। এই পরিসংখ্যান কোনোভাবেই মুমিনুলের সঙ্গে যায় না। এ কারণেই দিনের পর দিন উপেক্ষার শিকার তিনি। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন আরও আগে। ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল, ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ব্যাটই করার সুযোগ পাননি তিনি।
আইএইচএস/পিআর