চাপ কাটিয়ে ওঠার কৃতিত্ব মিঠুনের : মুশফিক
ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ ওয়ানডে, প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে গেছেন দুই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ওভারে হাতের ব্যথায় মাঠ ছাড়েন অপর ওপেনার। দুই ওভার শেষেই নেমে যেতে হলো মাঠে। স্কোরবোর্ডে রান তখন মাত্র ৩, উইকেটের সংখ্যা ২। যদিও টেকনিক্যালি তখন ৩ রানে ৩ উইকেটই বলা চলে বাংলাদেশের।
সেখান থেকে পাঁচ নম্বরে নেমে মিঠুন খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, সামাল দিলেন প্রাথমিক ঝড়, নির্ভরতা দিলেন মুশফিককে ও দলকে নিয়ে গেলেন স্বস্তির এক জায়গায়। মাত্র ৩ রানের মাথায় ইনজুরি আক্রান্ত তামিমসহ বলা চলে ৩ উইকেটই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের।
লাসিথ মালিঙ্গার পেসের সামনে দিশেহারা বাংলাদেশ ইনিংস সামলানোর দায়িত্ব নিলেন মুশফিক ও মিঠুন। শুরুতে মুশফিক খেললেন রয়ে সয়ে। নিজের প্রথম ১০ বলও ধরেই খেললেন মিঠুন। এরপর থেকেই শুরু উইকেটের চারপাশে ব্যাট ঘোরানো। রান করতে থাকলেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।
প্রথম ১০ ওভারে যেখানে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ২৪ রান, সেখানে ২০ ওভার শেষে সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১০২ রান। অর্থ্যাৎ দ্বিতীয় দশ ওভারে টাইগাররা পায় বিনা উইকেটে ৭৮ রান। যার সিংহভাগই আসে মিঠুনের ব্যাট থেকে।
ইনিংসের ২৬তম ওভারে দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মিঠুন। ফেরার আগে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৬৮ বল থেকে ৬৩ রান করেন মিঠুন। হাঁকান ৫টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কা। বাংলাদেশ ইনিংসের মূল নায়ক নিঃসন্দেহে মুশফিকুর রহীম।
আর মুশফিককে সাবলীলভাবে খেলার সুযোগ করে দিয়ে নায়কের বন্ধুর চরিত্রটা এদিন ছিলো মিঠুনেরই। ম্যাচ শেষে তাই মিঠুনকে তার প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি ম্যাচের নায়ক মুশফিক। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক চাপ কাটানোর কৃতিত্ব মিঠুনকেই দেন মুশফিক।
তিনি বলেন, 'আমরা জানি, পরের রাউন্ডে যেতে আমাদের দুটি ম্যাচেই জিততে হবে। আমরা ব্যাটিংয়ে যেমন শুরু চেয়েছিলাম তেমনটা হয়তো পাইনি। সে সময় মিঠুন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।'
'আমার মনে হয়, উইকেট খুবই ভালো ছিল। শুরুতে আমরা খুব চাপে ছিলাম। সেটা কাটিয়ে উঠার কৃতিত্ব মিঠুনের। চাপের মধ্যে সে অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছে। ক্রিজে আসার পর আমার ওপর থেকে সম্পূর্ণ চাপটা সরিয়ে নিয়েছিল মিঠুন। এটা আমার কাজটা খুব সহজ করে দিয়েছিল।'
এসএএস/এমএস