টেস্ট খেলার স্বপ্নকে নিজেই কবর দিলেন মিলার!
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অপরিহার্য সদস্য। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ১০৯টি ওয়ানডে খেলেছেন ডেভিড মিলার। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৬১টি। কিন্তু টেস্টে অভিষেকের সুযোগই হয়নি। তার মারকাটারি ব্যাটিংটা হয়তো বড় দৈর্ঘ্যের জন্য উপযোগী মনে করেন না প্রোটিয়া নির্বাচকরা। তবে বয়সটা মাত্র ২৯, সামনে সুযোগ হয়তো আসতো। তবে আপাতত ওই সুযোগের অপেক্ষা করতে চাইছেন না মিলার।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলবেন না। অর্থাৎ লাল বলের ক্রিকেটকে আপাতত দূরে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত তার। যেহেতু লাল বলে খেলবেনই না, টেস্ট দলে বিবেচিত হওয়ারও তাই সুযোগ থাকছে না মিলারের। হতে পারে এটাই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ।
লাল বল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মিলার বলেন, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি সবসময়ই লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে ভালোবাসি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, হয়তো ভবিষ্যতে খেলব। তবে আপাতত সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে চাই। আমি এই অবস্থানে এসে প্রোটিয়াদের হয়ে যে ফরমেটটা বেশি ভালোবাসি, সেটাই খেলতে চাই। এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে আগামী বছরের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে।’
৬৩ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৬ সেঞ্চুরি আর ১৯ হাফসেঞ্চুরিতে ৩৬.৩২ গড়ে ৩৩৪২ রান করেছেন মিলার। তার মতো সম্ভাবনাময় একজন টেস্ট খেলোয়াড়ের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের (সিএসএ) প্রধান নির্বাহী থাবাঙ্গ মুরোয়। তবে মিলারের সিদ্ধান্তে সম্মানও জানিয়েছেন তিনি, ‘এটা হতাশার। ২৯ বছর বয়স তার, এখনও সব ফরমেটে অনেক কিছু দেয়ার আছে। তবে আমরা এটাও বুঝতে পারছি, প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ জেতায় সাহায্য করতে সে সবটুকু দিতে চায়। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত করার সময় তার হাতে থাকবে। আশা করছি লাল বলের ক্রিকেটে এটাই তার শেষ নয়।’
এমএমআর/পিআর