শ’তে শুরু, শ’তে শেষ, ইতিহাসের পঞ্চম কুক
মধ্যাহ্ন বিরতির বাকি তখন চার ওভার, জীবনের শেষ ইনিংসে কুকের সেঞ্চুরির জন্য দরকার তখনও ১০টি রান। কেনিংটন ওভালে দর্শকদের উত্তেজনা তুঙ্গে, বিরতির আগেই কি হয়ে যাবে কুকের সেঞ্চুরি? নাকি স্নায়ুচাপ নিয়েই কাটাতে হবে বিরতির ৪০ মিনিট সময়? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে কুক সময় নিলেন মাত্র ৭ বল।
ইনিংসের ৬৯তম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহকে মিডঅফ দিয়ে মারলেন বাউন্ডারি, ওই ওভারে দৌঁড়ে নিলেন আরো দুই। পৌঁছে গেলেন ৯৬ রানে। ক্যারিয়ারের ৩৩তম শতক থেকে তখন মাত্র একটি বাউন্ডারি দূরে। বাউন্ডারি মারতে হলো না কুককে। আগের ওভারে কুকের ব্যাটে বাউন্ডারি হজম করা বুমরাহ করলেন ওভারথ্রো, কুক পেলেন পাঁচ রান, পৌঁছে গেলেন ১০১ রানে।
সেঞ্চুরি! ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে শেষবারের মতো উঁচিয়ে ধরলেন ব্যাট, গ্রহণ করলেন ওভালের পরিপূর্ণ গ্যালারির দাঁড়িয়ে জানানো সম্মান। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ও শেষ টেস্টটি মিলে গেল এই বিন্দুতে।
২০০৬ সালে নাগপুরে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে হাঁকিয়েছিলেন ফিফটি (৬০), দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৪*)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ বছর কাটানোর পর বিদায় বেলায় ওভাল টেস্টেও করলেন নাগপুরের পুনরাবৃত্তি। প্রথম ইনিংসে করেন ফিফটি (৭১), দ্বিতীয় ইনিংসে খেলছেন শতক নিয়ে। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত তার সংগ্রহ ১০৩ রান।
ক্যারিয়ারের প্রথম ও শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কুক ঢুকে গেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত এক তালিকায়। যেখানে তার আগে নাম লেখাতে পেরেছেন মাত্র ৪ ক্রিকেটার। অভিষেক টেস্ট ও বিদায়ী টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো আগের ৪ ক্রিকেটার হলেন রেগি ডাফ (১৯০২-১৯০৫), বিল পন্সফোর্ড (১৯২৪-১৯৩৪), গ্রেগ চ্যাপেল (১৯৭০-১৯৮৪) ও মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন (১৯৮৪-২০০০)। এ তালিকার সর্বশেষ নামটি অ্যালিস্টার কুক।
এছাড়াও টেস্ট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেলে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছেন কুক। নামের পাশে ১২৪০০ রান নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন সাঙ্গাকারা। ওভাল টেস্টের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত কুকের রান ১২৪২৮। এ তালিকার প্রথম চারজন হলে শচীন টেন্ডুলকার ১৫৯২১), রিকি পন্টিং (১৩৩৭৮), জ্যাক ক্যালিস (১৩২৮৯) ও রাহুল দ্রাবিড় (১৩২৮৮)।
এসএএস/এমএমআর/এমএস