রশিদ খানের ব্যাপারে চিন্তিত নন কোচ-অধিনায়ক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেরাদুনে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইওয়াশ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ দলের জন্য এক আতঙ্ক হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে লেগস্পিনার রশিদ খানকে। সিরিজে তিন ম্যাচে মাত্র চার (৪.৪৫) ইকোনমিতে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ।
সেই সিরিজের পর থেকেই আফগানিস্তান নামটি এলেই যেন আগে চলে আসে রশিদ খানের নাম। ঢুকিয়ে দেয়া হয় রশিদ খান নামক জুজুর ভয়। তবে আসন্ন এশিয়া কাপে আর এই জুজুতে ভয় পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে এমনটাই জানিয়েছিলেন দলের তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাশ।
পরদিন অর্থ্যাৎ বৃহস্পতিবার একই কথা জানালেন দলের কোচ স্টিভ রোডস ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। অধিনায়কের মতে এবারের ফরম্যাটটি ওয়ানডে হওয়ায় রশিদ খানের বিপক্ষে আরও সময় পাওয়া যাবে। যার ফলে টি-টোয়েন্টির মতো অতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারবেন না তিনি।
মাশরাফি বলেন, ‘রশিদ খান বিশ্বমানের স্পিনার। তবে আমি মনে করে টি-টোয়েন্টিতে আমাদের বিপক্ষে তার সফল হওয়ার কারণ ছিল ২০ওভারের খেলায় রানের তাড়া ও শটস খেলার তাগাদা থাকে। তবে ওয়ানডেতে এটা থাকে না। দুই-তিন ওভার দেখেও খেলা যায়। তবু সে বিশ্বমানের স্পিনার। তার গুগলি ও রংআন পিক করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা বিশ্বাস করি যদি শ্রীলঙ্কার সাথে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করি তাহলে রশিদ খানের বিপক্ষে ভালো খেলার বিশেষ সাহস পাব।’
এশিয়া কাপে শুধুমাত্র বাংলাদেশ দলে কোনো লেগ স্পিনার নেই। বাকি দলগুলো ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান দলে রয়েছেন লেগ স্পিনার। আরব আমিরাতের মাটিতে লেগ স্পিন দিয়েই বাজিমাত করার চিন্তা বাকি দলগুলোর। এ ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও যেন এগিয়ে আফগানিস্তান। দলটিতে রয়েছেন বিশ্বমানের লেগ স্পিনার রশিদ খান।
নিজ দলে একজনও লেগস্পিনার না থাকার আক্ষেপ শোনা যায় কোচের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে আমাদের কোন লেগস্পিনার নেই। তবে আমি বা আমরা খুব করে একজন লেগস্পিনার ও একজন বাঁহাতি চায়নাম্যান বোলার চাই। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি অনুর্ধ্ব-১৩ থেকে অনুর্ধ্ব-১৭’তে ১২-১৩ জন লেগস্পিনার গড়ে উঠছে। এটা ভালো সংবাদ। তবে এই মুহূর্তে একজন লেগস্পিনার খুব দরকার ছিল।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩-০’তে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারা কি ভয়ের কারণ কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে রোডসের উত্তর, ‘না। তবে আমি দল হিসেবে আফগানিস্তানকে শ্রদ্ধা করি। সীমিত ওভারে তারা সমীহ করার মতো দল। আমার নিজ দলের ক্ষেত্রেও তাই। আমরাও আফগানদের কাছ থেকে পূর্ণ শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্যতা রাখি। আমি বিশ্বাস করি তারাও আমাদের সমীহ করেই খেলবে।’
এআরবি/এসএএস/জেআইএম